সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে এবার আসানসোল পুরসভায় দুই জন ডেপুটি মেয়র হতে চলেছেন। আর তারপরই ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে দুই জন ডেপুটি মেয়র নিয়োগ করতে বর্তমান আইনে সংশোধনী আনতে হবে। সেই মতো বাজেট অধিবেশনেই এই সংশোধনী আনতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। তবে সংশোধনী বিলটি বিধানসভায় পাশ হলেও তা আইনে পরিণত হতে হলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের স্বাক্ষর প্রয়োজন। তা নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করা হয়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই তথা ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী অভিজিৎ ঘটক এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর ওয়াসিমুল হককে এবার ডেপুটি মেয়র করা হবে আসানসোল পুরসভার। মনে করা হচ্ছে ভারসাম্যর রাজনীতি করতেই দুই ডেপুটি মেয়র নিয়োগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে তাঁদের ডেপুটি মেয়র পদে বসা নিশ্চিত করতে আসানসোল পুরসভা আইন সংশোধনী পাশ করাতে চায় শাসকদল।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, এবার আসানসোলের মেয়র হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কাউন্সিলর অমর চট্টোপাধ্যায়। টানা আটবার তিনি পুরভোটে জিতেছেন। এবারও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি জয়ী হন। তবে এবারও তিনি মেয়র হতে পারলেন না। বদলে তাঁকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তাছাড়া মলয়বাবুর ভাই অভিজিৎ, কুলটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অশোক রুদ্ররাও দৌড়ে ছিলেন। এই আবহে প্রার্থীপদ নিয়ে দলের অন্দরে কলহ দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় তিন বারের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, বিধানবাবু এবার ভোটেই লড়েননি। মেয়র পদে শপথ নেওয়ার অন্তত ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে। এদিকে ভারসাম্য বজায় রাখতে দুই জন ডেপুটি নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়।