UP Election: ‘১০ মার্চের পর বুলডোজার চলবে’, অখিলেশের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে হুঙ্কার যোগীর

অখিলেশ যাদবের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার মইনপুরি জেলার কারহাল বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের যোগী বলেন যাতে তারা নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দেন। এই কারহাল থেকেই প্রথমবারের জন্য বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব।

অখিলেশের বিরুদ্ধে প্রচারে গিয়ে যোগী ভোটারদের ‘সমাজবাদীর গুন্ডাদের থেকে ভয় পেতে’ বারণ করলেন। পাশাপাশি হুঙ্কার ছেড়ে যোগী বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য বুলডোজারগুলো মেরামতের জন্য গিয়েছে। ১০ মার্চের পর ফল প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি সরকার গঠন করলে বুলডোজারগুলো ফের কাজ শুরু করে দেবে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

কারহালে অখিলেশের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেলকে। তৃতীয় দফায় ২০ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাঘেলের প্রচারেই আজকে কারহালে গিয়েছিলেন যোগী। মইনপুরি জেলা সমাজবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কারহাল বিধানসভা কেন্দ্রে যাদবদের সংখ্যা বেশি। সেই যাদব অধ্যুষিত কেন্দ্রে গিয়েই যোগী চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন অখিলেশের বিরুদ্ধে।

এদিন যোগী ফের একবার ‘গরমি’ তোপ দাগেন। এর আগেও অখিলেশ ও আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই ভাষার প্রয়োগ করেছিলেন যোগী। যোগীর এই ভাষা প্রয়োগ নিয়ে অবশ্য কম নিন্দা হয়নি। তবে তাতেও থামার পাত্র নন যোগী। এদিকে এদিন যোগী অখিলেশকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘অখিলেশ এর আগে বলেছিলেন যে মনোয়ন পেশের পর একেবারে ফল প্রকাশের দিন সার্টিফিকেট নিতে কারহালে আসবেন অখিলেশ। তবে ভূপেশ বাঘেল তাঁকে পঞ্চমদিনই ফিরতে বাধ্য করলেন।’ যোগী আরও বলেন, ‘সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আজমগড়ের সাংসদ হলেও করোনাকালে সময় সেখানে যাননি। তাই তিনি সেখান থেকে (আজমগড়) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস জোগাড় করতে পারেননি। কারহালে নেতাজির (মুলায়ম সিং যাদব) নাম ভাঙিয়ে আসন দখল করার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু এখন তাঁকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।’ পাশাপাশি এদিন ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে হওয়া হামলার বিষয়টিও তোলেন যোগী আদিত্যনাথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.