সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর একটি টুইট শেয়ার করেন যাতে দাবি করা হয় যে কুয়েতের এক প্রভাবশালী সাংসদ নাকি সংসদে দাবি তুলেছেন যাতে সেদেশে বিজেপি সদস্যদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর এই টুইট শেয়ার করার জন্য শশী থারুরকে তোপ দাগল কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাস। দূতাবাসের তরফে দাবি করা হয় যে শশী থারুর যার টুইট শেয়া করেছেন তিনি একজন ‘পাকিস্তানি এজেন্ট’। পরে শশী থারুর দাবি করেন, তিনি টুইট করা ব্যক্তিকে সমর্থন করেন না। তবে ভারতে বেড়ে চলা ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ নিয়ে তিনি চিন্তিত।
শুক্রবার শশী থারুর একটি টুইট শেয়ার করেন যা দাবি করেছে যে কুয়েতের সংসদ সদস্যরা ভারতের বিজেপি সদস্যদের প্রবেশে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞার দাবিতে সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। মূল টুইটে লেখা, ‘আমরা বসে বসে মুসলিম মেয়েদের প্রকাশ্যে নির্যাতিত হতে দেখতে পারি না।’ চিঠির একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত ছিল টুইটে। শশী থারুর টুইটটি শেয়ার করে লেখেন, ‘ভারতে ক্রমেই ইসলামফোবিয়া বাড়ছে এবং প্রধানমন্ত্রী এর নিন্দা করতে নারাজ।’
শশী থারুরের টুইটের জবাবে কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস একটি সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করে। যাতে দেখা যাচ্ছে বিতর্কিত টুইট করা ব্যক্তিকে পাকিস্তান পুরস্কৃত করছে। এরপর শশী থারুরের উদ্দেশে লেখা হয়, ‘ভারতীয় সংসদের একজন মাননীয় সদস্য একজন পাকিস্তানি এজেন্টের ভারত বিরোধী টুইট রিটুইট করছেন দেখে দুঃখিত। এই ব্যক্তি (আসল টুইট যিনি করেছেন) তার ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তানি অ্যাম্বাসেডর অফ পিস পুরস্কার পেয়েছে।’ এরপরই সাফাই গেয়ে থারুর দাবি করেন, তিনি টুইট করা ব্যক্তিকে সমর্থন করেন না। তবে তিনি বলেন, ভারত বিরোধিতা করার কোনও হাতিয়ার যেন এমন মানুষের হাতে তুলে দেওয়া না হয়।