আজ থেকে ১৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া আহমেদাবাদ বোমা বিস্ফোরণের জন্য ৪৯ ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন জঙ্গিদের দোষী সাব্যস্ত করলো মুম্বাইয়ের আদালত, ভয়াবহ ঘটনার প্রায় দেড় দশক পরেও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এখন ও প্রায় সমান সক্রিয়, একই সঙ্গে পি এফ আই ও জেহাদের ঝান্ডা নিয়ে গাজওয়াতুল হিন্দের চক্রান্ত চালিয়েই যাচ্ছে

আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা। সালটা ২০০৮। সময় সন্ধে ছয়টা বেজে একচল্লিশ মিনিট।

গুজরাট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদ মাধ্যমের অফিস একাউন্টে একটা ইমেইল (email) পাঠানো হলো যাতে লেখা আছে , ” আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভারতের কাফেরদের বিশ্বাস হিন্দু ধর্মকে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হবে “।

এই ধরণের বার্তায় অনেকেই হকচকিয়ে যান। কেউ কেউ আবার ফুৎকারে এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দেন বাজে ইয়ার্কি বলে।

কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সন্ধে ছয়টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে কেঁপে ওঠে গোটা আহমেদাবাদ।
একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ছাপ্পান্নজন নিরীহ মানুষ , আহত দু’শোরও বেশি।তাঁদের মধ্যেও অনেকে পরে মারা যান বা পাকাপাকি ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যান।

সব মিলিয়ে ২১ টি বিস্ফোরণ ঘটায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন ও স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (Students Islamic Movement of India) বা সিমি (S I M I) ও পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) বা পি এফ আই (P F I) এর সাহায্যে।

শুধু এই নয় একের পর এক বিস্ফোরণের জেরে যখন হাহাকার চলছে আহমেদাবাদ শহরে , তখন বহু মানুষ উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন। আহমেদাবাদ সিভিল হসপিটালের (Ahmedhabad Civil Hospital) পাশেই আর একটি হাসপাতালেও প্রচুর মানুষ জড়ো হন কারণ সেই খানেও আহতদের আনা হয় এবং বহু মানুষ সেখানেও যান রক্ত দেওয়ার জন্য।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন জঙ্গিরা সেখানেও , অর্থাৎ হাসপাতালের ভিতরেও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় , ফলে হাসপাতালেই মারা যান ৩৭ জন।

সূত্রের খবর , বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Ammonium Nitrate) ব্যবহার করা হয়েছিল এবং ব্যবহার করা হয়েছিল টিফিন বাক্স ক্যারিয়ার।
আজ বিস্ফোরণের ১৪ বছর পর এই বিস্ফোরণে ভুক্তভোগীদের আত্মাকে হয়তো কিছুটা শান্তি দিয়ে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলো ৪৯ জন ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন জঙ্গিদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.