আলিয়ার ইতিহাস বলছে কট্টর ইসলাম ছাড়া আর কোনো কিছুকেই মান্যতা দেয়না ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

পশ্চিম বাংলার আলিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা এবার কর্নাটকে হিজাবধারীদের সমর্থনে আন্দোলনে নামলো। আন্দোলনের মূল মন্ত্র হচ্ছে : ” সবার উপরে ইসলাম , ইসলামের কাছে অন্য সব কিছু গৌণ।”

কট্টর ইসলাম তথা জিহাদকে সমর্থন করা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের জেহাদি মনোবৃত্তির প্রকাশ ঘটে কার্গিল যুদ্ধ , বালাকোট স্ট্রাইক , নাগরিকত্ব আইন , ৩৭০ ধারা বিলোপ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার সময়।
একটু ইতিহাসের দিকে তাকানো যাক।
সালটা ২০১০। তখনও পশ্চিম বাংলায় (West Bengal) বামফ্রন্ট (Left Front ) রাজত্ব চলছে।
শিরিন মিদ্দ্যা নামে একজন মুসলিম শিক্ষিকা আলিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াতে আসেন, কিন্তু তিনি বোরখা (b u r q a) বা হিজাব (h i j a b), কোনোটাই পড়তেন না।

এই নিয়ে প্রবল আপত্তি তোলে আলিয়ার স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (student’s union)। আন্দোলন শুরু হয় শিরিনের বিরুদ্ধে। তাঁকে চাপ দেওয়া হয় বোরখা ও হিজাব পরবার জন্য, কিন্তু তাতেও তিনি রাজি হননি। এবার হুমকি দেওয়া হয় এবং এরই সাথে শুরু হয় ক্যাম্পাস জুড়ে আন্দোলন।

তিনি সত্যি মুসলিম কিনা , নাকি আসলে হিন্দু বা খ্রীষ্টান নাম ভাঙিয়ে পড়াচ্ছেন সেই নিয়েও গবেষণা শুরু করে আলিয়া ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। শেষমেশ তিনি প্রমান দিতে বাধ্য হন যে তিনি আদতে মুসলিম।
তবে এর পর আরো চাপ আসতে থাকে শিরিনের উপর। স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অভিযোগ তোলে যে শিরিন কাফেরদের সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।

ইতিমধ্যে শিরিনের দেখা দেখি আরো সাত জন শিক্ষিকাও বোরখা বা হিজাব পরা ছেড়ে দেন। এই ঘটনায় প্রচন্ড অসন্তুষ্ট হয়ে শুরু হয় ক্লাস বয়কট। সাময়িক ভাবে ইউনিভার্সিটি বন্ধ করে দেয় আলিয়া ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টসরা।
প্রচন্ড চাপের মুখে বাকি সাতজন শিক্ষিকা বোরখা ও হিজাব পরা শুরু করলেও শিরিন কোনো মোটেই রাজি হয়না এই ব্যাপারে মাথা নোয়াতে ও স্টুডেন্টদের অন্যায় আবদার মানতে।

শিরিন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কে পুরো ব্যাপারটা জানান, কিন্তু সামনে নির্বাচন , মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে বামফ্রন্ট সরকার বাধ্য হয়ে শিরিনকেই অন্য জায়গায় বদলি করে দেন।
এত বছর পরেও এতটুকু বদলায়নি আলিয়ার ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীদের বোধ ও সংস্কৃতি। তারা এখনো তাদের জেহাদি ভাব ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.