গুরগাঁওতেও পৌঁছে গিয়েছে কর্ণাটকের হিজাব কাণ্ডের রেশ। এই রেশের মূল্য দিতে হলো এক নিরীহ ট্যাক্সি ড্রাইভারকে।
কি ভাবে ?
গুরগাঁওয়ের ব্যস্ত জায়গায় হাত দেখিয়ে একটি ট্যাক্সি দাঁড় করায় বোরখা পরিহিতা এক যুবতী।ট্যাক্সি ড্রাইভার (taxi driver) সেই মতো ট্যাক্সি থামাতেই একটি ছুরি নিয়ে এক কোপ মারে ওই ট্যাক্সি ড্রাইভারকে।
কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্য ভ্রষ্ট হন আততায়ী। বুক লক্ষ্য করে চালানো ছুরি লাগে হাতে। কপালের জোরে বেঁচে যায় ওই ট্যাক্সি ড্রাইভার।
ছুরি মারার সময় সে বলে ” বোরখা (burqa) ও হিজাব (hijab) আমাদের মানে মুসলিম মহিলাদের অধিকার “।
তবে পালানোর সুযোগ পায়নি সে ۔ তৎক্ষণাৎ ধরা পরে যান সেই বোরখা পরিহিতা মুসলিম মহিলা।
তবে তাকে গ্রেফতার করার সময় সে একটি মহিলা পুলিশ কর্মীকেও আঘাত করে। সূত্রের খবর , ধৃত ওই মহিলা বিদেশিনী। সম্ভবত সে মধ্য এশিয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে হিজাব কাণ্ডের জের চলে গিয়েছে সুদূর পাকিস্তানেও। পাকিস্তানের বিভিন্ন কলেজ (college) ও ইউনিভার্সিটি (university) ছাত্রদের ও বিশেষ করে ছাত্রীদের কড়া ফরমান দেন কর্তৃপক্ষ ভ্যালেন্টাইন্স ডে র দিন।
কড়া নির্দেশ ছিল যে কোনো ছাত্রী স্লীভলেস পোশাক (sleeveless outfit) তো পরতেই পারবেনা , বরং হিজাব (h i j a b) ও বোরখা (b u r q a) বাধ্যতামূলক (mandatory) হবে ক্যাম্পাসের (campus) মধ্যে।
ক্যাম্পাস এর মধ্যে যে কোনো ছাত্র ও ছাত্রীর মধ্যে থাকতে হবে ন্যূনতম দুই মিটার দূরত্ব, তবে ছয় মিটার দুরন্ত বাঞ্চনীয়। কর্তৃপক্ষ জানায় যে এই নয়মের অন্যথা হলে শাস্তির কোপে পরতে হবে।
তবে এত কিছু করেও আটকানো যায়নি পুরোটা।
ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা বোরখা পড়লেও কেউ কেউ হিজাব পড়েননি কিছুক্ষনের জন্য, ফলে শাস্তি পেতেই হয়েছে সংশ্লিষ্ট ছাত্রীদের।
আবার কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে প্রেমিক যুগল দুই মিটার এর দূরত্বের আইন ভেঙেছে , ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে, কিন্তু এতেও রেহাই মেলেনি। ফলে শাস্তি হয়েছে ছাত্রী ও ছাত্রের দুজনেরই।
শাস্তির ছিল শো কজ (show cause)। একদিনের জন্য ক্লাস করা থেকে সাসপেন্ড (suspend) থেকে শুরু করে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।