৩৭০ ধারা সংবিধান থেকে অবলুপ্ত হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি কী হবে সে দিকে নজর ছিল সকলের। সেখানকার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা দেখতে উপত্যকায় রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ডোভালই গোটা বিষয়টি দেখবেন। বুধবার দেখা গেল দক্ষিণ কাশ্মীরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সাধারণ কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
কখনও আম কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথা বললেন, মনোভাব জানলেন, কখনও আবার একসঙ্গে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে, কখনও সিঁড়িতে বসে তাঁদের সঙ্গে বিরিয়ানিও খেলেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে কথা বলতে দেখা গেল সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গেও। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হয়েছে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এখন সেখানকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সেনাবাহিনীর কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতেই ঘুরে ঘুরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
অজিত ডোভালেকে দেখা যায় কাশ্মীরিদের সঙ্গে সেখানকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক ব্যাপারে কথা বলতে। অনেকের মতে, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কথা বলার পিছনে দুটি উদেশ্য রয়েছে। এক, সাধারণ কাশ্মীরিদের মনোভাব বোঝা। এবং দুই, তাঁর কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বাড়ানো। তাঁদের এই বার্তা দেওয়া, জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার।
কিন্তু এর মধ্যে বিক্ষিপ্ত হলেও উত্তাপ ছড়িয়েছে কাশ্মীরে। বুধবার বিকেলেই বারামুলায় একদল কাশ্মীরি রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান। সেই সময়ে সেনাবাহিনী বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সিআরপিএফ-এর হেফাজত থেকে এক কিশোর পালিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
রাজ্যসভা, লোকসভায় বিল পাশের পর বুধবার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এখন দেখার জম্মু ও কাশ্মীর কতটা শান্ত থাকে। উপত্যকাকে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী।