বিনিয়োগ টানতে এবার ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর ধাঁচে অক্টোবর মাসে ‘ভাইব্র্যান্ট জম্মু-কাশ্মীর’ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরে লগ্নিকারীদের সম্মেলন করতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ১২ অক্টোবর শ্রীনগরে এবং ১৪ অক্টোবর জম্মুতে এই শিল্প সম্মেলন হতে পারে৷
রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের অধীনে রাজ্য প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ এজন্য জম্মু-কাশ্মীর বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে বণিকসভাও এগিয়ে এসেছে।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রক্রিয়া শেষ হলে বুধবারই জাতির উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ দেওয়ার কথা। সেখানে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের বিষয়ের কথাও বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫এ অনুচ্ছেদ থাকার জন্যই জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন ঠিক মতো হতে পারেনি। কারণ হোটেল, বড় শিল্প এই রাজ্যে হতে পারছিল না। এবার জম্মু কাশ্মীরে উন্নয়নের জোয়ার আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিরও বক্তব্য, এই রাজ্যে ভরসাযোগ্য কোনও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল নেই। দেশের সবচেয়ে সুন্দর রাজ্য হওয়া স্বত্তেও বড় হোটেল গোষ্ঠী এখানে লগ্নি করেনি। যার ফলে রাজ্যের রাজস্ব বাবদ আয় বাড়েনি এবং স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হয়নি।
অর্থনীতির বিভিন্ন পরিসংখ্যাতেই প্রতিফলিত হচ্ছে উন্নয়ন তথা আর্থিক বিকাশের দিক থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পিছিয়ে। ২০১৯-র জুন মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৯%। তাছাড়া সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে ২০১৯-র জুলাই পর্যন্ত এই রাজ্যে গড়ে বেকারত্বের মাসিক হার ছিল ১৫%, যা গোটা দেশের গড় হারের (৬.৪%) তুলনায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।