পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই রবীন্দ্র সদনে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস, মালা রায়, শান্তনু সেন–সহ আরও অনেকে। এখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে মালা দেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গলায়। চুপ করে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলেন। তাই তো রবীন্দ্র সদনে দাঁড়িয়েই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কেওড়াতলা মহাশশ্মান পর্যন্ত হেঁটে যাবেন। সেইমতো শববাহী গাড়িতে নিয়ে আসা হয় শিল্পীর নিথর দেহ। সেই গাড়ির পিছনে পায়ে পায়ে হেঁটে আসেন অসংখ্য মানুষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘সন্ধ্যাদির প্রয়াণে আমি আত্মীয় বিয়োগের যন্ত্রণা অনুভব করছি। উনি আমাকে মাতৃস্নেহ দিয়েছিলেন। মেয়ের মতো ভালবাসতেন। বাংলার সংগীত জগতে আজ বড় দুঃখের দিন। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী গীতশ্রীকে আমরা হারালাম। আমাদের হৃদয় আজ শূন্য। ছেলেবেলা থেকেই সন্ধ্যাদির গানের সঙ্গে আমার পরিচয়।’
আর শোকবার্তায় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী, অমর সুরসাধিকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীরতম শোকপ্রকাশ করছি। দশকের পর দশক ধরে তিনি তাঁর অবিস্মরণীয় কন্ঠমাধুর্যের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া অসংখ্যা গান সংগীতপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় আজও শীর্ষে রয়েছে।’