আচমকাই চলে গেলেন সংগীত পরিচালক তথা গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি। মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত ‘ডিস্কো কিং’। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের জুহুর ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। করোনা পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যা ছিল বাপ্পি লাহিড়ির। তবে এভাবে চলে যাবেন, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর সচিব (সেক্রেটারি) অমিত সান্যাল।
করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাস কয়েক আগেই ৷ প্রায় একমাস হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। এভাবে আচমকা তাঁর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না ঘনিষ্ঠরা। ৬৯ বছর বয়সী এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যু হল কীভাবে? সেই কারণ ব্যাখা করেছেন চিকিত্সক দীপক নমজোশি। তাঁর অধীনেই চিকিত্সা চলছিল বাপ্পি লাহিড়ির। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে চিকিত্সক জানিয়েছেন, ‘বাপ্পিদা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA) এবং বুকে সংক্রমণে ভুগছিলেন। একটানা ২৯দিন এই নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে সুস্থ হয়ে ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফেরেন শিল্পী। গত বছর উনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগছিলেন’।
প্রয়াত সংগীত শিল্পীর সেক্রেটারি অমিত সান্যাল জানিয়েছেন, গত সোমবারও মুম্বইয়ের বাড়িতে শেষ বার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ির৷ তার কথায়, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গলায় খানিকটা সংক্রমণের প্রভাব পড়েছিল কিংবদন্তি শিল্পীর। ওষুধ খেয়ে, নিয়মিত ব্যায়াম করে সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। মাঝে একবার ইউনারি সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। তবে সেইটা বড় কোনও সমস্যা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘এভাবে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা তো ছিল না ওঁনার৷’
করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে শারীরির দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি, জানিয়েছিলেন তাঁর সেক্রেটারি। শারীরিক নানা সমস্যার জন্য হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। তাই হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হত তাঁকে৷ তবে সংগীত চর্চা থেকে নিজেকে বিরত রাখেননি কখনও।
বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুসংবাদ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের চিকিত্সক। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। তবে নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে আজীবন ভারতীয়দের মনে রাজ করবেন তিনি।