সৌরজগতের দূরতম গ্রহাণুর অনন্য উপত্যকার নামকরণ হল বাংলা শব্দে। নিউ হরাইজনস মহাকাশযানের পাঠানো ছবি থেকে নাসার বিজ্ঞানীরা আরোকোথ নামে ওই গ্রহাণুর একটি উপত্যকার নাম দিয়েছেন ‘আকাশ’। কোনও মহাকাশযান দিয়ে মানুষের পর্যবেক্ষণ করা এখনো পর্যন্ত দূরতম গ্রহাণু আরোখোথ। প্লুটো থেকেও ১০০ কোটি কিলোমিটার দূরে কিউপার বেল্টে অবস্থিত এই গ্রহণুটি।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি আরোকোথ নামে এই গ্রহাণুটির কাছ দিয়ে উড়ে গিয়েছিল মহাকাশযান নিউ হরাইজনস। তার পর দীর্ঘদিন ধরে সেই সময় তোলা ছবিগুলি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে যানটি। আর গ্রহাণুটির ছবি দেখে চমকে উঠেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় দুটি গ্রহাণু যেন একে অপরকে ছুঁয়ে রয়েছে। বড় অংশটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিমি, ছোট অংশটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিমি। আর সংযোগস্থলে তৈরি হয়েছে উজ্জ্বল একটি বৃত্ত। নিউ হরাইজনস মিশনের সঙ্গে যুক্তি বিজ্ঞানীরা সেই উজ্জ্বল বৃত্তের নাম দিয়েছেন ‘আকাশ’। আজ পর্যন্ত কোনও জ্যোতিষ্কে এমন বৈশিষ্ট দেখা যায়নি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মহাকাশে দ্বৈত জ্যোতিষ্কের সন্ধান মানুষ অনেক আগেই পেয়েছে। রয়েছে বহু দ্বৈত নক্ষত্র। এমনকী বামন গ্রহ প্লুটোও একটি দ্বৈত ব্যবস্থার অংশ। শ্যারনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের চারিদিকে ঘোরে সে। কিন্তু একে অপরকে স্পর্শ করে রয়েছে এমন দ্বৈত জ্যোতিষ্কের এর আগে সন্ধান পায়নি মানুষ। তাই বলা যেতেই পারে ব্রহ্মাণ্ডের অনন্য বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে জড়িয়ে গেল বাংলা ভাষা।