ইউক্রেন বনাম রাশিয়ার সংঘাত ঘিরে ক্রমেই চড়েছে পারদ। গত কয়েকদিনে পর পর ঘটনাবলী আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্বেগে রাখে। দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ আরও চড়তেই, বহু দেশই নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়। কারণ ইউক্রেন সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছিল রাশিয়ার মোতায়েন হওয়া সেনার সংখ্যা। ইউক্রেন সীমান্তে কার্যত সমরসজ্জা নিয়েই তৈরি হচ্ছিল রাশিয়া। সেই জায়গা থেকে আজ এক রিপোর্ট সূত্রে আসে বড়সড় স্বস্তির বার্তা।
একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মসকোর তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সেনার একটা অংশকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে। উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্ত ঘিরে ক্রমেই বেড়ে চলা রুশ সেনার দাপট দেখে কয়েকদিন আগেই বিশ্বজোড়া কূটনৈতিক মহল মনে করেছিল ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এখন সময়ের অপেক্ষা। এরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে ফোন যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ১ ঘণ্টা আলোচনা হয়। তবে, পুতিন সেদিন নিজের জায়গা থেকে সরে আসেননি বলেই জানা গিয়েছিল। পরে আমেরিকা জানায়, রুশ আগ্রাসন ঘিরে মসকো আরও একধাপ এগোলেই পদক্ষেপ করবে আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলি। কার্যত পশ্চিমীদেগুলি যে রাশিয়ার এমন আগ্রাসন নীতিকে মেনে নেবে না সেই বার্তা দেয় হোয়াইট হাউস। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলির সংঘাত ক্রমান্বয়ে চড়তে থাকে। যার শিখর গত কয়েক সপ্তাহে দেখেছে তামাম বিশ্ব। কিছুদিন আগে পর্যন্তও মনে করা হচ্ছিল কিয়েভের ওপর মসকোর আঘাত হানার ঘটনা যে কোনও সময়ই ঘটে যেতে পারে। এদিকে মঙ্গলবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে এক রুশ নিউজ এজেন্সিকে মসকোর তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সাদার্ন ও ওয়েস্টার্ন সেনা নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে এবার সেনা ক্যাম্পে ফিরে আসার জন্য রেলপথে রওনা দিয়েছে। সেনার একাংশ সডৃক পথেও ফিরছে বলে জানানো হয়েছে। তবে জানা যায়নি কত সংখ্যক সেনাকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে আনছে রাশিয়া। জানা যায়নি কেনউবা আচমকা এভাবে সংঘাতের রক্তচক্ষু থেকে সরে দাঁড়াল পুতিনের দেশ। তবে গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনা পরম্পরার পর এই নয়া পদক্ষেপ অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলকে। উল্লেখ্য, মসকোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জার্মানি। প্রসঙ্গত রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানীর অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র জার্মানি। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতের মাত্রা বাড়লে তা ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘর্ষকে উস্কানি দিতে পারে বলে মনে করেন বহু বিশেষজ্ঞ। এদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলার ওলাফ স্কোলস ইতিমধ্যেই মসকোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। তারপরই এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে রাশিয়া প্রশাসন।