অনেকটাই বাড়ল খাদ্য সামগ্রীর দাম, মুদ্রাস্ফীতি ছাড়িয়ে গেল RBI-এর ঊর্ধ্বসীমা

জানুয়ারি মাসে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ৬.০১ শতাংশ ছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ধার্য করা ঊর্ধ্বসীমাকে (৬ শতাংশ) লঙ্ঘন করেছে গত মাসের মূল্যস্ফীতি। তবে আরবিআই দাবি করেছে যে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এর আগে ডিসেম্বরে খুচরা মূল্যস্ফীতি বা কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স ছিল ৫.৬৬ শতাংশ।

গতবছর জানুয়ারিতে ভোগ্যপণ্য এবং টেলিকম মূল্য বর্তমান পর্যায়ের থেকে সস্তা ছিল। এর জেরেই এবছর মূল্যস্ফীতি এতটা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও ডিসেম্বরে ৪.০৫% এর তুলনায় জানুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৫.৪৩%। এর আগে বাজেট অধিবেশনের সময় বিরোধীরা মূল্যাস্ফীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ইউপিএ জমানায় ডবল ফিগারে চলে যাওয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছিলেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

জানুয়ারি মাসে তেল এবং ফ্যাট বিভাগে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১৮.৭%। জ্বালানি বিভাগে ৯.৩২ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে জানুয়ারিতে। এদিকে জানুয়ারিতে খাদ্য ও পানীয় বিভাগে মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৫৮ শতাংশ। শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মূল্যবৃদ্ধির হার বেশি ছিল। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৬.১২ শতাংশ হয়েছে। আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৩৬ শতাংশ। এদিকে শহুরে মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৫.৯১ শতাংশে পৌঁছেছে।

এই পরিস্থিতিতেও কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে আরবিআই জানায়, রেপো রেট ও রিভার্স রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আরবিআই এই মুহূর্তে নিশ্চিত যে সুদের হার কম রাখাই দেশের অর্থনীতির জন্য সঠিক হবে। আরবিআই-এর আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির যুক্তি, নিম্ন সুদের হারের ফলে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। অর্থনীতির আউটপুট এবং জিডিপি হার বাড়াতে সাহায্য করবে কম সুদের হার। তবে আশঙ্কা, কম সুদের হার মুদ্রাস্ফীতিকেও বাড়াতে পারে। আর সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে সাম্প্রতিক রিপোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.