শুধুমাত্র বিজেপি কিংবা মোদী সরকারের নয়, দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা নেত্রীদের তালিকায় উঠে আসবে তাঁর নাম। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। যে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আজ দেশ উত্তাল, সেই কাশ্মীর নিয়েই পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়ে এসেছিলেন।
তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। এর কয়েকদিন পরই সোমবার এক এক করে ইস্যু তুলে সেই রাষ্ট্রসংঘেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় সুষমা বলেছিলেন, ‘আপ স্বপ্না দেখনা ছোড় দিজিয়ে’।
২০১৬-র ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে সেদিন তিনি বলে এসেছিলেন, ”কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে, থাকবে। সুতরাং কাশ্মীর নিয়ে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন।” পাকিস্তানের উদ্দেশে বলেছিলেন বারবার বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনি। বন্ধুত্বের বদলে সন্ত্রাস পেয়েছে ভারত।
আমাদের কাছে বাহাদুর আলির মত জীবন্ত প্রমাণ আছে, যা প্রমাণ করে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসছে জঙ্গিরা।
নওয়াজ বলেছিলেন ‘আলোচনার আগে ভারত শর্ত দেয়।’ তার জবাবে সুষমা বলেছিলেন, ”কিসের শর্ত? মোদী লাহোরে যাওয়ার আগে শর্ত দিয়েছিলাম? আমাদের সরকারের শপথ গ্রহণে আমন্ত্রণের আগে শর্ত দিয়েছিলাম?” রাষ্ট্রসংঘে নওয়াজ বলেছিলেন, ‘ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে’। সুষমার উত্তর ছিল, ‘কাঁচের ঘরে বসে শত্রুকে ঢিল ছোঁড়া যায় না।’
তাঁর বক্তব্য ছিল, ”আমরা যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট না হই, তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম আমদের ক্ষমা করবে না। আমাদের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে। সেটা কঠিন নয়, শুধুই ইচ্ছার অভাব। সন্ত্রাসবাদ মূল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। সন্ত্রাসবাদ মানবতার সবথেকে বড় শত্রু।”
উল্লেখ্য, কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশ হওয়ার পর সুষমা মঙ্গলবারই ট্যুইট করে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। বলেন, সারাজীবন তিনি এই দিন দেখার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।