দেশকে এক সূত্রে বাধার দায়িত্ব দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার প্যাটেল কে দেওয়া হয়েছিল। যে পক্রিয়া সরদার প্যাটেল আরম্ভ করেছিল, তাকে আজ বর্তমান গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ পুরো করে ভারতের মুকুট জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ অধিকার দেওয়া অনুচ্ছেদ 370 কে সরিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যসভায় চর্চার সময়, অমিত শাহ J&K থেকে 370 বিলুপ্ত করার ঘোষণা করেন। এই পরিবর্তনকে রাষ্ট্রপতির তরফ দিয়ে মঞ্জুরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের কারণে সবচেয়ে বেশি যদি কেউ চিন্তিত হয়ে থাকে সেটি হলো পাকিস্তান, যেখানের পুরো রাজনীতির কেন্দ্রই কাশ্মীর থাকে।
এটা স্বাভাবিক আমাদের প্রতিবেশী দেশ অনুচ্ছেদ 370 কে নিয়ে করা ঘোষণা একদমই হজম হয়নি। পাকিস্তান যে পাগল হয়ে আছে তা তাদের নেতাদের মন্তব্যে ভালোভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে পাকিস্থানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ খুরেশি বলেন ” ভারত সরকার দ্বারা জম্মু কাশ্মীর নিয়ে করা ঘোষণার আমরা কড়া শব্দে নিন্দা করি, ভারতের এই সিদ্ধান্তটি ভুল এবং পাকিস্তান এই বিষয়টিকে আমেরিকি প্রতিনীতি মন্ডল ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্প্রদায়ের সামনে জোর-যার ভাবে তুলবে।
সেখানে, এই বিষয়ের উপর নিজের মতামত রেখে বিজেপি সদস্য সুব্রামানিয়ান স্বামী বলেন অনুচ্ছেদ 370 সরানো হয়ে গেছে এবং কাশ্মীরের উপর কোনো মধ্যস্থতা হবে না। ওদের ভারতের অংশ স্বাধীন কাশ্মীরকে ফেরত দিতেই হবে। সুব্রামানিয়ান স্বামী POK কে ফিরিয়ে নেওয়ার সহজ রাস্তাও বলে দিয়েছেন। সুব্রামানিয়ান স্বামী
বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদে প্রস্তাবের অধীনে পাকিস্থান অধিকৃত কাশ্মীরের জমিও ফেরত নেওয়া উচিত। উনি আরো বলেন অনুচ্ছেদ 370 অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পাবলিক নোটিশ দ্বারা এটা সরানো যেতে পারে আর সেটির প্রস্তাব রাখা হয়েছে, এতে সংসদের মঞ্জুরিরও দরকার নেই। সুব্রামানিয়ান স্বামী বলেন যে নেহেরুর পক্ষ দিয়ে UNSC তে দেওয়া আবেদনকেও ফেরত নিয়ে নেওয়া উচিত। যতক্ষণ অব্দি অনুচ্ছেদ 370 লাগু ততক্ষণ অব্দি এর ভুল সুবিধে নেওয়া হচ্ছিল।
সাথেই সুব্রামানিয়ান স্বামী বলেন নরসিমহা রাও এর সরকার সংসদে সর্ব সম্মতি দ্বারা পাকিস্থানের কব্জায় থাকা কাশ্মীরকে (POK) ফেরত নেওয়ার প্রস্তাবকে গৃহীত করেছিল। জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান সভা নিজের কার্য বর্ষ ১৯৫৬ তে পরিপূরণ করেছিল এবং জম্মু কাশ্মীরের প্রস্তাব পেশ করেছিল, যেটা বলে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অংশ হবে। আর এটি জম্মু কাশ্মীরের সংবিধানেও লেখা আছে। উনি বললেন ” এটি জম্মু কাশ্মীরের সংবিধানে আছে।” এই জন্য আমার মনে হয় যে কংগ্রেস পার্টির নেতা আইন দ্বারা পুরোপুরী ভাবে অনভিজ্ঞ ছিলেন। তারা এই ব্যাপারটি জানত না যে আইন জম্মু-কাশ্মীরকে নিয়ে কি বলে। স্বামী কাশ্মীরি পীড়িতদের জন্য বলেছে 370 পুরোপুরী ভাবে একতরফা আইন ছিল। কাশ্মীরি পন্ডিতদের পক্ষ থেকে একটি শব্দও বলা হয়নি। আর না তাদের ফেরত আনার কোনো চেষ্টা করা হয়েছে।