সাম্প্রতিক সময়ে ভিএআর বা ভিডিয়ো অ্যাসিসটেন্ট রেফারির ব্যবহার ফুটবলকে চিরতরে বদলে দিয়েছে। এখন প্রায় ভুল সিদ্ধান্ত বা অফসাইডে বিতর্কিত গোলে কোনো দলের স্বপ্নভঙ্গ হয় না বললেই চলে। সেই ভিএআর সিস্টেমকে আরও নির্ভুল করার জন্যই নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ফিফা।
বর্তমানে চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে সেমি অটোমেটিক অফসাইড সিস্টেম পরীক্ষাগতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তথ্যের ওপর নির্ভরশীল এই প্রযুক্তি মাঠে উপস্থিত বিশেষ ক্যামেরা এবং ব্রডকাস্টারদের ক্যামেরার সম্বন্বয়ে অফসাইড কলে কোনো খেলোয়াড় ঠিক কোথায় রয়েছে, তা সেকেন্ডের মধ্যে প্রধান রেফারিকে বলে দেয়। কোনো খেলোয়াড়ের শরীরের ১৮টি জায়গার তথ্য নিয়ে এক কঙ্কাল তৈরি করে এই সিস্টেম। এর ফলে খুব দ্রুত কোনো খেলোয়াড় অফসাইড কিনা তা বোঝা যায়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলে, তা থ্রিডি ছবি তৈরি করেও বড় স্ক্রিনে দর্শকদের সামনে তুলে ধরে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গত বছর আরব কাপে প্রথমবার এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে ১৮-র জায়গায়, ফুটবলারদের শরীরের ২৯টি জায়গার পরিমাপ করে যাতে এই প্রযুক্তি নির্ভুল সিদ্ধান্ত দিতে পারে, সেটাই ফিফার লক্ষ্য। তবে ফাইনাল সিদ্ধান্ত রক্ত মাংসের রেফারিই নেবেন। বর্তমান প্রযুক্তিতে অন্তত ৩০ সেকেন্ড লাগে খেলোয়াড়ের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে, সেই কারণেই খেলা থামার পরেই স্ক্রিনে খেলোয়াড়রা অফসাইড কলের সময় কোথায় ছিলেন তা দেখানো হয়। তবে এই প্রযুক্তি তা নিমেশের মধ্যে করে ভিএআর রেফারিকে সেই ছবি পাঠাবে। ফলে অফসাইড কলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
বর্তমানে অনেক সময়ই এই বিঘ্নের জন্য সময় নষ্ট হয় এবং সমর্থকদের ম্যাচ দেখার অনুভূতিতেও তাতে প্রভাব। সেই সমস্যাও দূর করতে সচেষ্ট ফিফা। ফিফার রেফারি কমিটির প্রধান পিয়ারলুইজি কলিনা, বুধবার এই নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা এখনও পুরোপুরি নির্ভুল নয়। সময় আর নির্ভুল সিদ্ধান্ত একেবারেই সমানুপাতিক নয়। রেফারিরা নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিক এটা যেমন জরুরি, আমরা তার পাশপাশি এটাও জানি যে বিশেষ করে অফসাইডের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়টা কমাতে হবে। অনেক সময়ই গোলের পরে সকলের সেলিব্রেশনও করা হয়ে এবং তারপর শেষমেশ গোলটি বাতিল হয় বা দেওয়া হয়। খুব কঠিন সিদ্ধান্ত হলে সময় আরও বেশ লাগে।’ ফিফা এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এই সমস্যাই দূর করতে উৎসুক।