বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশ জুড়ে হিজাব বিতর্ক ঝড় তুলেছে। এই আবহে আজ থেকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু হল বিধানসভার মহারণ। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের মাঝেই আজ উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে ভোট প্রচারে যান প্রধানমন্ত্রী। এক জনসভায় বকতৃতা দেওয়ার সময় তাঁর মুখে শোনা যায় মুসলিম নারীদের জন্য বিজেপি সরকারের উদারতার কথা। পাশাপাশি কৃষকদেরও মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার নিশ্চিত করেছে যাতে ছোট কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা পেতে থাকেন। ‘তিন তালাক’ নিষিদ্ধ করে মুসলিম মহিলাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে আমাদের সরকার। আমরা আখ চাষীদের জন্য একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। চিনির বাজারের উত্থান-পতন মোকাবিলা করতে, ইথানল তৈরিতেও আখ ব্যবহার করা হবে। আখ ভিত্তিক ইথানল থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। যা আখ চাষীদের নিরাপত্তা প্রদান করছে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
প্রধানমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক ফায়দা পেতেই মুসলিম নারীদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, ‘মুসলিম বোন-কন্যারা আমাদের সদিচ্ছা বোঝেন। আমরা তাদের তিন তালাক মুক্ত করেছি, সুরক্ষা দিয়েছে। বিজেপি যখন মুসলিম মহিলাদের সমর্থন পেয়েছে, তখন এই ভোট-ঠিকাদাররা অস্থির হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের মেয়েরা ‘মোদী-মোদী’ রব তুলেছেন। তারা মুসলিম বোনদের সাথে প্রতারণা করছে। আমাদের সরকার ‘হর মজলুম’ (প্রতিটি নির্যাতিতা) মুসলিম নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা মুসলিম বোনদের সাথে প্রতারণা করছে যাতে মুসলিম কন্যাদের জীবন সর্বদা পিছিয়ে থাকে।’
এদিকে পরিবাতন্ত্র ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ভুয়ো ‘পরিবার-বাদ’ পার্টি জাল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণকে… মনে রাখবেন যদি কেউ বড় প্রতিশ্রুতি দেয় তবে তারা সাধারণত খালি আওয়াজ করে। এই সব প্রতিশ্রুতি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রমাণ। তারা বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু উত্তরপ্রদেশকে অন্ধকারে রেখে তাদের জেলাকে আলোকিত করেছে। নিজের জন্য সাহারানপুর ও অন্যান্য জেলা ছেড়ে দিয়েছে।’