চিন- পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দুই দেশ। চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত ৬ই ফেব্রুয়ারি বেজিংয়ে আলোচনায় বসেন। পরে যৌথ বিবৃতি জারি করে দুই দেশ। সেই বিবৃতি জারির তিনদিন পরে এবার দুই দেশের অবস্থানের বিরুদ্ধে তীব্র জবাব দিল ভারত। বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমাদের অবস্থান চিন ও পাকিস্তান উভয়ই জানে। তাদের বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের উল্লেখকে কোনওদিন আমরা মানব না। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ আগেও ছিল, এখনও আছে, পরেও আমাদেরই অবিচ্ছেদ্য় অংশ থাকবে।আমাদের প্রত্যাশা ভারতের অভ্যান্তরীন ঘটনা নিয়ে যেন কেউ নাক না গলায়।
বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেন,আমরা বার বার বলেছি, অর্থনৈতিক করিডরের কথা যেখানে বলা হচ্ছে সেটা ভারতের অংশ। পাকিস্তান সেটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। সেই জায়গায় পাকিস্তান সহ অন্য দেশের কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতা আমরা করছি।
এদিকে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর সমস্য দীর্ঘদিনের। জাতিপুঞ্জের সনদ মেনে শান্তিপূর্ণভাবে তার সমাধান করা দরকার। এদিকে ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল মর্যাদা তুলে দেওয়ার পর থেকেই চিন অন্যরকম অবস্থান নিচ্ছে। এখন চিন ও পাকিস্তানের তরফে বেশ জোরের সঙ্গে বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক করিডরকে সফল করতে নাকি দুদেশ উদ্যোগ নেবে। এমনকী থার্ড পার্টিকেও তারা বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে।