Modi on Farm Law: ‘কৃষকদের সুবিধার্থে আইন আনা হয়েছিল, দেশের স্বার্থে তা তুলে নেওয়া হয়’, বার্তা মোদীর

উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে ভোট পর্ব শুরু হতে চলেছে। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে কার্যত সাজো সাজো রব দেশের এই ৫ রাজ্যে। এবারের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম বড় ইস্যু কৃষক আসন্তোষ। বিশেষত পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের রেশ কতটা প্রভাব ফেলে সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এদিকে, নির্বাচন শুরুর আগের রাতে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষি আইন নিয়ে মুখ খোলেন নরেন্দ্র মোদী।

সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘কৃষি আইন কৃষকদের সুবিধার্থে আনা হয়েছিল। তবে এখন তা তুলে নেওয়া হয়েছে দেশের স্বার্থে। আমার মনে হয়না এই বিষয়ে আর কিছু ব্যাখ্যা করার আছে। ভবিষ্যতই জানান দেবে কেন এই আইন তুলে নেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, মোদীর এই বার্তা যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ তথা ইঙ্গিতবহ তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, দিল্লির সীমান্ত ঘিরে গত ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের শুরুর দিকে একাধিক মাস ধরে চলেছিল কৃষকদের লাগাতার আন্দোলন। দাবি ছিল কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন তুলে নিতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে এই কৃষি আইন তুলে নেওয়া ঘিরে বিজেপির শরিক শিরোমনি অকালি দল এনডিএ ছেড়ে চলে যায়। পঞ্জাব , হরিয়ানায় ব্যাপকভাবে বিজেপি বিরোধী ঝড় উঠতে দেখা যায় এই ইস্যুতে। এরপরই ২০২২ সালে ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের খানিক আগে এই তিনটি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে ভোট পর্ব শুরু হতে চলেছে। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে কার্যত সাজো সাজো রব দেশের এই ৫ রাজ্যে। এবারের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম বড় ইস্যু কৃষক আসন্তোষ। বিশেষত পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের রেশ কতটা প্রভাব ফেলে সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এদিকে, নির্বাচন শুরুর আগের রাতে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষি আইন নিয়ে মুখ খোলেন নরেন্দ্র মোদী।

সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘কৃষি আইন কৃষকদের সুবিধার্থে আনা হয়েছিল। তবে এখন তা তুলে নেওয়া হয়েছে দেশের স্বার্থে। আমার মনে হয়না এই বিষয়ে আর কিছু ব্যাখ্যা করার আছে। ভবিষ্যতই জানান দেবে কেন এই আইন তুলে নেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, দিল্লির সীমান্ত ঘিরে গত ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের শুরুর দিকে একাধিক মাস ধরে চলেছিল কৃষকদের লাগাতার আন্দোলন। দাবি ছিল কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন তুলে নিতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে এই কৃষি আইন তুলে নেওয়া ঘিরে বিজেপির শরিক শিরোমনি অকালি দল এনডিএ ছেড়ে চলে যায়। পঞ্জাব , হরিয়ানায় ব্যাপকভাবে বিজেপি বিরোধী ঝড় উঠতে দেখা যায় এই ইস্যুতে। এরপরই ২০২২ সালে ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের খানিক আগে এই তিনটি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এদিনের সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ আমি এমন একজন , যে কৃষকদের মন জয় করে নেওয়ার সফরে রয়েছি। আমি প্রান্তিক কৃষকদের দুঃখ বুঝি। আমি সব সময়ই তাঁদের মন জয় করতে চেয়েছি। .. আমি সারাদেশের কৃষকদের দুঃখ বুঝেছি আর তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। ’ এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় আগামী সময়েও কি ফের একবার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার? যার জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “গণতন্ত্রে জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিত কর্তব্য মানুষের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সরকার সবসময়ই আলোচনায় আগ্রহী, আর আমরা তা থামাতে চাইনা। ‘ একধাপ এগিয়ে মোদী বলেন, কোনও ইস্যুতেই আলোচনা থামানো উচিত নয়। তিনি বলেন, বাজেট পেশের আগে যেমন আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনই আলোচনা তালানো উচিত। মজার সুরে মোদী বলেন, আমি মনে করি না যে বিশ্বের সমস্ত জ্ঞান শুধু ’জ্ঞান বাবু’ আর রাজনৈতিক নেতাদেরই রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.