ফেব্রুয়ারির প্রথমেই স্কুল খোলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলা্র বিষয়েও সায় দিয়েছে নবান্ন। সেই মতো ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন নয়, শ্রেণিকক্ষে অফলাইন ক্লাস শুরু হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ক্লাস শুরুর নির্দেশিকা দেওয়া হলেও তাঁদের এখনও অনলাইন ক্লাসই চলছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে বসার জন্য বেঞ্চ না পাওয়ারও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। মঙ্গলবার অফলাইন পঠনপাঠনের শুরু করার দাবিতে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। অবশেষে কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ এবং বৈঠকের পর বুধবার থেকেই অফলাইন ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
স্কুল খোলার আগে থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি করা হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের জন্য রাস্তায় নামে একাধিক ছাত্র সংগঠন। পরে নবান্নের নির্দেশে স্কুল খুলেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিভাগের পড়াশোনা অফলাইনে চললেও, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পুরনো অনলাইন পদ্ধতি চালু রয়েছে কেন জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনেক শিক্ষকের বয়স হয়েছে, কো-মর্বিডিটিও রয়েছে। তাঁদের পক্ষে যেমন কোভিড পরিস্থিতিতে টানা মাস্ক পরে ক্লাস করানো অসুবিধাজনক, তেমন অনেক পড়ুয়ারও ভিনরাজ্যের বা দূরে বাড়ি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে মেসে থেকে পড়াশোনা করে। করোনাকালে তারাও মেস ছেড়ে দিয়েছে। ওই সব পড়ুয়াদেরও থাকার জায়গা খোঁজার সময় দিতে হবে।’’
এ দিন বিকেলের দিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন কর্তৃপক্ষ, তাতে বুধবার থেকে স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা কোনও পড়ুয়াকেই ফেরানো হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে জানান অরিত্র মজুমদার। এ ছাড়াও আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বৈঠক রয়েছে, তাতে গত দু’বছরে অনলাইন ক্লাসের ফলে পড়ুয়ারা যদি কোথাও পিছিয়ে পড়েছেন বলে মনে করেন, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।