কাশ্মীর ইস্যুতে একটি টুইট ঘিরে ক্রমেই চোরাবালিতে ফেঁসে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা হুন্ডাই। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে হুন্ডাইয়ের একটি ডিস্ট্রিবিউটর পার্টনার সম্প্রতি ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম’ উল্লেখ করে একটি টুইট করেছিল। আর এরপরই ভারতে হুন্ডাইকে বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। এরপর এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
বিতর্ক শুরুর পরেই হুন্ডাই ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে ক্ষমা চাওয়া হয়। বলা হয়, ব্যবসায়িক নীতি হিসাবে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে সংস্থা। আরও দাবি করা হয়, হুন্ডাই পাকিস্তানের সেই ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার সাথে যুক্ত নয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে ভারেতর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা হুন্ডাই পাকিস্তানের তথাকথিত কাশ্মীর সংহতি দিবস নিয়ে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখেছি। ৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার এই পোস্টটি করা হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। তারপরই, সিউলে আমাদের রাষ্ট্রদূত হুন্ডাই সদর দফতরের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ঘটনার ব্যাখ্যা চান। আপত্তিকর পোস্টটি পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূতকে গতকাল, ৭ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।
অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, ‘হুন্ডাই মোটরস একটি বিবৃতি জারি করে ভারতের জনগণের কাছে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং এটা স্পষ্ট করে যে তারা কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিষয়ে মন্তব্য করে না। ভারত বিভিন্ন খাতে বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। তবে এটাও প্রত্যাশা করে যে এই ধরনের কোম্পানি বা তাদের সহযোগীরা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে।’
এদিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর হুন্ডাইয়ের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রীর কাছে। একট টুইট বার্তায় জয়শংকর লেখেন, ‘আজ কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিদেশমন্ত্রী চুং ইউই ইয়ংয়ের ফোন পেয়েছি। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি হুন্ডাই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছি আমরা।’