লতাজি-র গানে লিপ মেলাতে পেরেছিলাম, ওঁর আশীর্বাদ পেয়েছিলাম: ঋতুপর্ণা

রবিবার সকালেই এল সেই চরম দু:সংবাদ। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন লতা মঙ্গেশকর। ৯২ বছর বয়স হয়েছিল মৃত্যুর সময়। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড নেগেটিভ এলেও করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। কোকিলকণ্ঠীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করলেন টলিউডের সম্রাজ্ঞী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া গান ছবিতে তাঁর লিপে থাকবে, এ স্বপ্ন ছিল দেশের প্রতিটি অভিনেত্রীর-ই। সেই তালিকায় ছিলেন স্বয়ং ঋতু-ও। ‘লতাজি’-র গানে লিপ মেলাতে পেরে তিনি যে যে কতটা ভাগ্যবান, সে কথাও এদিন অকপটে জানালেন ঋতু।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ছবির নাম ‘আমার ভালোলাগা, আমার ভালোবাসা’। ঋতুপর্ণা-ফেরদৌস অভিনীত এই ছবিতে গান গেয়েছিলেন লতা। ছবির দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, মঞ্চে মাইক হাতে গান গাইছেন ঋতু। লত মঙ্গেশকরের প্রয়াণে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করলেন ঋতুপর্ণা। এই সময় ডিজিটাল-কে ঋতুপর্ণা বললেন, ‘ আমার নিজের কাছে তা ছিল বিরাট পাওয়া। বহুবছর আগে দেখেছিলাম ওঁকে। ওঁর থেকে আশীর্বাদ নিয়েছিলাম।’

আরও বলেন, ‘লতাজি আমাদের গর্ব। আমার ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠার সময়টুকুতে জুড়ে রয়েছেন উনি। ওঁর গান আজও স্বপ্নের মতো লাগে। লতাজি মানেই বিস্ময়। ছোটবেলায় লতাজির গান-ই ছিল আমাদের কাছে স্বপ্নের জগতে হারিয়ে যাওয়ার চাবিকাঠি। কত নায়িকার কেরিয়ার যে তৈরি করে দিয়েছে তাঁর গান, তা ভাবলেই অবাক হতে হয়। ওঁর চলে যাওয়াটা আক্ষরিক অর্থেই নক্ষত্র পতন। বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হল। লতাজি শুধু আমাদের জীবন এবং দেশেরই নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক সভ্যতারও এক অন্যতম পরিচয়। লতা মঙ্গেশকর এমন একটি স্তম্ভের নাম, যাঁর সামনে নিজে থেকেই সম্মান ও শ্রদ্ধায় আমাদের মাথা নত হয়ে আসে।’

কথা শেষে টলি-নায়িকার সংযোজন, ‘গোটা এক গানের জীবন দিয়ে গিয়েছেন তিনি আমাদের। সেটাই আমাদের এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলেই আমার বিশ্বাস। উনি যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক। ওঁর পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.