মুর্শিদাবাদের স্কুলে সরস্বতী পুজো নিয়ে শুক্রবার প্রাক্তন উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাসের প্রশ্নে আলোড়ন হয়। ফেসবুকে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “মুর্শিদাবাদের স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়?“
পোস্ট করার প্রথম দু’ঘন্টায় ২৪টি উত্তর এসেছে।
মানসরঞ্জন বিশ্বাস লিখেছেন, “যতদূর জানি, না।“ তপন গড়াই লিখেছেন, “জানা নেই সঠিক, তবে আমাদের এলাকাতে কিছু মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী থাকে তাদের আমি একসময় জিজ্ঞেস করেছিলাম তারা বলেছিল কিছু কিছু জায়গায় হয়।”
কমল ঘোষ লিখেছেন, “বেশিরভাগ জায়গায় হয় না।”
অপূর্ব পাল লিখেছেন, “সব বিদ্যালয়ে হয় না। তবে আমাদের এলাকার কাছাকাছি তিনটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হয়।“ সুদীপা চৌধুরী লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদ তাহলে বাংলার বাইরে অবস্থিত?“ স্বামী আদিদেবানন্দ লিখেছেন, “সেই এলাকার ইমামদের মর্জি মত এটা ঠিক করা হয়।” সুবিদ প্রকাশ শিকদার লিখেছেন, “স্যার মুর্শিদাবাদ তো কলকাতা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে কলকাতার কোলে হাওড়াতে হতে দেয় না!“
শ্যামল কুমার দাস লিখেছেন, “ওটা তো অলিখিতভাবে বাংলাদেশের একটি জেলায় পরিনত হয়েছে। কিছুকাল আগে জেলা কলেক্টর একটি চিঠিতে সই করেছিলেন যেখানে সই করার জায়গায় মূর্শিদাবাদের বদলে লেখা ছিল ‘মুসলিমাবাদ’।“ সন্তোষ মন্ডল জবাবে লেখেন, “হ্যাঁ, সঠিক বলেছেন! এর প্রতিবাদ করেছিলাম।“ তন্ময় প্রামাণিক লিখেছেন, “হ্যাঁ, সঠিক বলেছেন। কিছু লোক প্রতিবাদ করেছিল। বেশীর ভাগ লোকই ব্যাপারটা জানে না।“
সন্তোষ মন্ডল লিখেছেন, “৯০ দশকের আগে প্রায় স্কুলে সরস্বতী পুজো হতো কিন্তু এখন গ্রামীণ এলাকায় প্রায় বন্ধ।“ মন্দার গোস্বামী লিখেছেন, “আমি মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। বহু স্কুলেই পূজা হয়। তবে অহিন্দু ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা বেশি হলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া পূজা হয় না। কিছু ক্ষেত্রে পূজার বিরোধও হয়..। যেমন বহরমপুর, কান্দির স্কুলগুলিতে হয়। আবার ডোমকলে হয় না।“