রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল ‘কাশ্মীর রি-অর্গানাইজেশন বিল’। এই ঘটনার কিছু ঘন্টা আগে, রাজ্যসভায় সোমবার সকালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি পড়ে শুনিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’জির বক্তব্য বিস্তৃত এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ছিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে অতীতে ঘটা ঐতিহাসিক অন্যায় ও অবিচারকে খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন পাশাপাশি কাশ্মীরের ভাই-বোনদের নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনাকেও একইভাবে জানিয়েছেন। আপনারাও শুনুন।”
এদিন বিরোধীদের বিরোধীতায় রাজ্যসভার অধিবেশন বাতিল হয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। পরে ফের অধিবেশন বসেছে। বিরোধীরা একযোগে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তারই মধ্যে কোনরকমে বিবৃতি পাঠ করেন অমিত শাহ।
ভারতের অভিন্ন অংশ হয়ে উঠবে কাশ্মীর। সবথেকে বড় কথা, ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিল হওয়ায় কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে বলেও বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৩৭০ ধারা বাতিলের সমর্থনে রাজ্যসভায় জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশ করে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে খুব শিগগিরই হাসবে কাশ্মীর। দ্রুত কাশ্মীরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসবে বলেও এ দিন রাজ্যসভায় দাবি করেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন, বিরোধীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেলেও তা বিশেষ লাভজনক হবে না বলেও জানান তিনি। সবশেষে বিরোধীদের কাছে সরকারের ৩৭০, ৩৫ এ ধারা বাতিল এবং জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাবে আনা বিল সমর্থনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের কটাক্ষ করে অমিত শাহ দাবি করেছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছিল বলেই এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে মোদী সরকার।