দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন সংক্রমণের শুরু। আবার এই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই মারাত্মক আকার নিয়ে রয়েছে HIV বা AIDS-এর জীবাণু। এই দুই জীবাণুর মধ্যে কি যোগ থাকতে পারে? তা নিয়ে গবেষণা চলছিল। হালে পাওয়া গেল উত্তর। এবং উত্তরটি দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরা।
কী বলছে নতুন গবেষণা?
সম্প্রতি University of KwaZulu-Natal-এর গবেষকরা একটি অদ্ভুত তথ্য আবিষ্কার করেছেন। দেখা গিয়েছে, এক ২২ বছরের AIDS আক্রান্তের শরীরে ২১ বার নিজের রূপ বদলেছে করোনাভাইরাস। অর্থাৎ মাত্র একজনের শরীরেই ৯ মাসের মধ্যে ২১টি মিউটেশন ঘটিয়েছে ভাইরাসটি। এটি ওমিক্রন বা করোনার অন্য কোনও রূপ তৈরির জন্য যথেষ্ট। আর এই ঘটনা দেখেই বিজ্ঞানীদের মনে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের মতো করোনার রূপের দেখা দেওয়ার কারণ আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষের শরীরে AIDS-এ জীবাণু বা HIV রয়েছে। এটি বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি। AIDS-এ আক্রান্ত অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এবং তাঁদের অনেকের শরীরেই ব্যাপক হারে মিউটেশন ঘটিয়েছে এই ভাইরাস। এবং সেটিই ওমিক্রনের মতো রূপ জন্মানোর জন্য দায়ী হতে পারে।
কিন্তু সব AIDS আক্রান্তের শরীরেই এমন ব্যাপক হারে মিউটেশন হচ্ছে না। কারও কারও শরীরে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত AIDS-এর চিকিৎসা করান না বা নিয়ম করে ওষুধ খান না, তাঁদের শরীরে মারাত্মক হারে মিউটেশন হয়েছে ভাইরাসটির। আর তাঁদের মধ্যে থেকে কারও শরীরে হয়তো তৈরি হয়েছে ওমিক্রনের মতো রূপের।
এই আবিষ্কার আগামী দিনে কোভিডের নতুন রূপের বাড়াবাড়ি আটকাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।