৩৭০ ধারা রদ নিয়ে বিরোধীরা যতোই শোরগোল তুলুন, এর ফলে কিন্তু স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে ভূস্বর্গের অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যকে ভালোবাসা বহু ভারতীয়র। অবশ্যই তাঁদের কথা হচ্ছে, যাঁরা কাশ্মীরের বাসিন্দা নন। কীভাবে? আসলে ৩৭০ ধার রদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও ভারতীয়র কাশ্মীর উপত্যকায় জমি বাড়ি কেনার অধিকার তৈরি হল। যা এতদিন এই বিশেষ ধারার কারণেই সম্ভব ছিল না।
প্রসঙ্গত, আজই রাজ্যসভায় বিবৃত দিয়ে উপত্যকা নিয়ে একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রথমত, ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীর থেকে। এইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে লাদাখ থেকে আলাদা করে দেওয়া হল। ফলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হল।
পার্থক্য হল জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকছে, লাদাখে তা থাকছে না। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেপরেই গোটা দেশে হুলুস্থুল পড়ে যায়। একদিকে যেমন এমন সিদ্ধান্তকে বহু মানুষ সমর্থন করেন, অন্যদিকে বিরোধীতা করেন কেউ কেউ।
উলেখ্য, ৩৭০ রদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩৩৫-এ ধারাও উঠে গেল জম্মু-কাশ্মীর থেকে। এর ফলে ভূস্বর্গের মানুষের সামগ্রিক বিকাশে জোয়ার আসবে বলেই মনে করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।