‘‌এই ধরনের আচরণ হল সংবিধান লঙ্ঘন’‌, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের

সাধারণতন্ত্র দিবসে দেখা হলেও কথা হয়নি। প্রোটোকল মেনে পরস্পর পরস্পরকে করজোড়ে নমস্কার করলেও নিরাপদ দূরত্ব রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু বলার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে তাতে পাত্তা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এবার বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠি নিজের টুইটারে প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সেখানে সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী সমস্ত বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে বলে উল্লেখ করেন।

চিঠিতে কী কী বিষয় রয়েছে?‌ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল পেগাসাস–কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন থেকে শুরু করে রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) আয়োজনের খরচ, মা ক্যান্টিন চালানোর খরচ, গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন, এরোট্রোপলিস প্রকল্প, রাজ্য অর্থ কমিশন, অতিমারি পরিস্থিতি বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার খরচ পর্যন্ত সব তথ্য চেয়েও মেলেনি বলে অভিযোগ ধনখড়ের।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল?‌ টুইটারে চিঠি পোস্ট করে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘রাজ্যপালের চাওয়া তথ্য প্রদান করা রাজ্য সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সরকার তাঁর কাছ থেকে কোনও তথ্যই আড়াল করতে পারে না। এই ধরনের আচরণ হল সংবিধান লঙ্ঘন। যা উপেক্ষা করা যাবে না।’ সুতরাং আবার নবান্ন–রাজভবন সংঘাত শুরু হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‌বাংলায় ভোটারদের স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্রে ভোটার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় বিপদের মুখে গণতন্ত্র! ভোট পরবর্তী হিংসাই সেই ঘটনার প্রমাণ।’‌ তারপরই রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা পরখ করেছিলেন রাজ্যপাল। আজ সামনে এলো টুইট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.