সরকারকে সংরক্ষণের নির্দেশ দিতে পারে না হাই কোর্ট। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, সংরক্ষণের বিষয়টি পুরোপুরি রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্তের আওতায় পড়ে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের একটি সিদ্ধান্ত বাতিল করে এই মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলে, সংরক্ষণের বিষয়ে হস্তক্ষেপের এক্তিয়ার নেই হাই কোর্টের।
উল্লেখ্য গত ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে পঞ্জাব সরকারকে সরকারি মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজগুলিতে ক্রীড়াবিদদের জন্য ৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। রাজ্য সরকার ক্রীড়াবিদদের জন্য মাত্র ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করেছিল। তবে সরকারকে নয়া হারে সংরক্ষণের নির্দেশ দিতে হাই কোর্ট রাজ্যেরই জারি করা ২০১৮ সালের ক্রীড়া নীতির উপর নির্ভর করেছিল।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পঞ্জাব সরকার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নার বেঞ্চ বলে, ‘ক্রীড়া ব্যক্তিদের জন্য ৩ শতাংশ সংরক্ষণ এবং/অথবা সরকারী মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজগুলিতে ৩ শতাংশ স্পোর্টস কোটা প্রদানের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিতে পারে না উচ্চ আদালত। এই নির্দেশ বাতিল হওয়া উচিত।’
আদালত বলে যে হাই কোর্ট সংবিধানের ২২৬ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ধরনের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর একটি ভুল করেছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকার ক্রীড়া ব্যক্তিদের ১ শতাংশ সংরক্ষণ/কোটা প্রদানের জন্য একটি সচেতন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই হাই কোর্ট তার এক্তিয়ার অতিক্রম করে ক্রীড়া ব্যক্তিদের জন্য নয়া হারে সংরক্ষণের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয়। ভারতের সংবিধানের ২২৬ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছিল।’