উপনিষদ  বলছে, 
ঋতুষু পঞ্চবিধঁ সামোপাসীত বসন্তো হিংকারঃ গ্রীষ্মঃ  প্রস্তাবো বর্ষা উদ্গীথঃ শরত্প্রতিহারোহেমন্তো নিধনম্ ||
কল্পন্তে হাস্মা ঋতব য এতদেবংবিদ্বানৃতুষু পঞ্চবিধঁ সামোপাস্তে || 


ঋতু নিয়েই একটি বৎসর । বৎসর মিলিয়ে মিলিয়ে যুগ, যুগ হতে যায় যুগে, যুগান্তে। বসন্ত হল হিংকার, গ্রীষ্ম হল প্রস্তাব, বর্ষাকাল উদ্গীথ, শরৎ হল প্রতিহার। বসন্তে শস্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত, গ্রীষ্মে বপন, বর্ষায় বৃদ্ধি, শরতে পক্ক ফসল কাটার সময়, হেমন্তে ধূসর ক্ষেত্র ,ইঁদুর, রাত পেঁচা আর হিমেল কুয়াশায় পড়ে থাকা শূন্য শস্য ক্ষেত। বসন্ত ভ্রূণ, গ্রীষ্ম জন্ম,শৈশব, বর্ষা যৌবন, শরৎ বার্ধক্য বার্ধক্যজনিত রোগ বৃদ্ধি এবং হেমন্ত ( এখানে হেমন্ত বলতে শীতঋতুকে নিয়েই বোঝানো হয়েছে) ….ধূসর হেমন্তে বৃদ্ধমানুষের নিধন হয়। অর্থাৎ, পঞ্চঋতু একটি সম্পূর্ণ জীবন চক্র, জন্ম থেকে মৃত্যু মহামায়ার সংসারের অবিদ্যা স্বরূপ কালচক্র। কিন্তু উপাসক , যিনি ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন, যিনি বিদ্যা স্বরূপ ঈশ্বর সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি প্রতি ঋতুতে পঞ্চবিধ সামের উপাসনা করবেন। জীবন মৃত্যুর কালচক্র , সংসারের কোলাহল, দুঃখ যন্ত্রণা, বাঁধন কিছুই উপাসককে বিচলিত করতে পারে না। উপাসক যেহেতু ঋত্বিক, যেহেতু তিনি ঋতুতে ঋতুতে পঞ্চসামের উপাসনা করেন , তাই এই কালচক্র স্বরূপ ঋতুগুলি তাঁর নিকট আনন্দের উৎসস্থল হয়ে ওঠে। তিনি সচ্চিদানন্দে নিজেকে সঁপে দিয়ে ঋতুর পরিবর্তনে বিচলিত না হয়ে কেবল নিষ্কাম কর্ম করেন। সেই নিষ্কাম কর্মই তাঁকে ঋতুর শ্রেষ্ঠ বস্তুকে উপহার দেয়। 


শ্রীকৃষ্ণ পার্থকে সাংখ্যযোগ জ্ঞানদানের সময় বলছেন , 
দেহিনোহস্মিন্ যথা দেহে কৌমারং যৌবনং জরা ।
তথা দেহান্তরপ্রাপ্তির্ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি ॥
মাত্রাস্পর্শাস্তু কৌন্তেয় শীতোষ্ণসুখদুঃখদাঃ ।
আগমাপায়িনোহনিত্যাস্তাংস্তিতিক্ষস্ব ভারত ॥
যং হি ন ব্যথয়ন্ত্যেতে পুরুষং পুরুষর্ষভ ।
সমদুঃখসুখং ধীরং সোহমৃতত্বায় কল্পতে ॥
নাসতো বিদ্যতে ভাবো নাভাবো বিদ্যতে সতঃ ।
উভয়োরপি দৃষ্টোহন্তস্ত্বনয়োস্তত্ত্বদর্শিভিঃ ॥
অবিনাশি তু তদ্বিদ্ধি যেন সর্বমিদং ততম্ ।
বিনাশমব্যয়স্যাস্য ন কশ্চিৎ কর্তুমর্হতি ॥
অন্তবন্ত ইমে দেহা নিত্যস্যোক্তাঃ শরীরিণঃ ।
অনাশিনোহপ্রমেয়স্য তস্মাদ্ যুধ্যস্ব ভারত ॥
য এনং বেত্তি হন্তারং যশ্চৈনং মন্যতে হতম্ ।
উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হন্তি ন হন্যতে ॥

দেহীর দেহ যেভাবে কৌমার, যৌবন ও জরার মাধ্যমে তার রূপ পরিবর্তন করে চলে, মৃত্যুকালে তেমনই ঐ দেহী ( আত্মা ) এক দেহ থেকে অন্য কোন দেহে দেহান্তরিত হয়। স্থিতপ্রজ্ঞ পণ্ডিতেরা কখনও এই পরিবর্তনে মুহ্যমান হন না । হে কৌন্তেয় ! ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগের ফলে অনিত্য সুখ ও দুঃখের অনুভব হয় ৷ সেগুলি ঠিক যেন শীত এবং গ্রীষ্ম ঋতুর গমনাগমনের মতো । হে ভরতকুল-প্রদীপ ! সেই ইন্দ্রিয়্জাত অনুভূতির দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সেগুলি সহ্য করার চেষ্টা কর। হে পুরুষশ্রেষ্ঠ (অর্জুন) ! যে জ্ঞানী ব্যক্তি সুখ ও দুঃখকে সমান জ্ঞান করেন এবং শীত ও উষ্ণ আদি দ্বন্দ্বে বিচলিত হন না, তিনিই মুক্তি লাভের প্রকৃত অধিকারী। যাঁরা তত্ত্বদ্রষ্টা তাঁরা সিদ্ধান্ত করেছেন যে, অনিত্য জড় বস্তুর স্থায়িত্ব নেই এবং নিত্য বস্তু আত্মার কখনও বিনাশ হয় না। তাঁরা উভয় প্রকৃতির যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।  যা সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে, তাকে তুমি অবিনাশী বলে জানবে৷ সেই অব্যয় আত্মাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়। অবিনাশী, অপরিমেয় ও শাশ্বত আত্মার জড় দেহ নিঃসন্দেহে বিনাশশীল৷ অতএব হে ভারত ! তুমি শাস্ত্রবিহিত স্বধর্ম পরিত্যাগ না করে যুদ্ধ কর। যিনি জীবাত্মাকে হন্তা বলে মনে করেন কিংবা যিনি একে নিহত বলে ভাবেন, তাঁরা উভয়েই আত্মার প্রকৃত স্বরূপ জানেনা না। কারণ আত্মা কাউকে হত্যা করেন না এবং কারও দ্বারা নিহতও হন না।
আমাদের মধ্যে কয়েকটি কথা প্রচলিত আছে , দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি জেলের ঘানি, সংসারের ঘানি , জীবনের ঘানি ,কলুর বলদের মতো ঘানি টানছি। এই ঘানি ভারী উল্লেখযোগ্য শব্দ। ঘানি টেনে টেনেই মানুষের জীবনটা শেষ হয়ে যায়। ঘানি অর্থাৎ মহামায়ার সংসারে মহাকালের কালচক্র টেনে টেনেই জীবন শেষ করে দেয় মানব জাতি। কারণ , সে তো আর বিদ্যা স্বরূপ মায়াকে খুঁজতে যায় না । কিন্তু এই ঘানি টেনেই কত ব্যক্তি মহান হয়েছেন , অমর হয়েছেন সে খরবও মানব সমাজ খুব কম রাখেন। সেই সব অমৃতের সন্তানগণ শত নির্যাতনের মধ্যেও ঈশ্বরের উপাসনার প্রতি নিজেকে স্থির রেখে নিষ্কাম কর্ম গিয়েছেন। দেহসমাতৃকার সম্মান রক্ষার্থে সেই ত্যাগ , সেই নিষ্কাম কর্মকে মহামায়া স্বয়ং আপনার হস্তে অবিদ্যার কালচক্র থেকে বাহির করে মায়া বিদ্যার অমরত্ব দান করেছেন। 


যাক সে কথা, আজ জেলের গল্প বলব। গল্প ? ঠিক গল্প কি? না কি ইতিহাস? না কি অমৃত পথের কথা? না কি কলিযুগের রথী , মহারথীদের কথা? যে যা ভাববেন…..


লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় শ্রী পরমানন্দ সৌরিয়া অভিযুক্ত হলেন। বিচারে তার বিজন দ্বীপের দুর্জন কারাগারে জায়গা হল। তিনি নবীন যাত্রীরূপে সুদূর আন্দামানে এসে কুঠি বন্ধ হয়ে বন্দীজীবনের কর্ম করছিলেন। তাঁর বয়স তখন মাত্র সতের কি আঠারো হবে। তিনি যা মন চাইত তাই করতেন। তাঁকে সাজায় Coir pounding দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে কাজ তিনি করতেন না । করবেনই বা কেন? দেশটা যখন তার এবং বিচারক ও শাসক যখন গোরা , তারউপরে দেহসমাতৃকাকে রক্ষার জন্য লড়াই করে তাঁর যখন সাজা হয়েছে তখন মন আর কাকে ডরায় ? 


তো তখন বিজন দ্বীপের সেই সেলুলার নামক জেলে ২, ৩, ৬ নম্বর কুঠুরিতে ছিল কুলুর ঘানির আড্ডা। ৩ ও ৬ নম্বরের সরিষার পা কুলু ৮ টি, ৬ নম্বরে নারিকেলের হাত কুলু ৪০ টি এবং ২ নম্বরে সরিষার হাত কুলু ছিল ২০ টি। একটি পা কুলু থেকে চারজনকে পুরো দিনে ১২০ পাউন্ড সরিষার থেকে আধমণ তেল বের করতে হত। একটি হাত কুলু থেকে দুজনকে ৬০ পাউন্ড সরিষা থেকে ১০ সের তেল নিষ্কাষণ করতে হত। ৬ নম্বরে একটি হাতকুলুতে ৮৫ পাউন্ড নারকেল হতে সমস্ত দিনে পনের সের তেল নিষ্কাষণ করতে হত। সেলুলারে এলেই এই ঘানির চক্করে সকলকেই পড়তে হত। এই প্রাণঘাতী বিভীষিকাময় কুঠুরিতে একবার ঢুকলে তার মরণাপন্ন না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো কথা বলার জো টি থাকত না। আবেদন নিবেদন পদ্ধতি এখানে প্রায় চলত না। কারণ, হুজুর বললেই টিনডেল, পেটি অফিসারের ধমকানী , জমাদার থেকে পাঠান রক্ষীর মার , ব্যাড়ি সাহেবের চোখ রাঙানি ও মাড়ে সাহেবের গাম্ভীর্য দেখে সে প্রবৃত্তি দমে যেত।


তো ,  শ্রী সৌরিয়া কোনো দিন ২ পাউন্ডে ২ আউন্স , কোনোদিন খুব মর্জি হলে ৪ আউন্স বের করতেন। ফলে, জেলের তেলে টান পড়ল। আদৌ তেল জেলের কত কাজে আসত ? উক্ত উল্লেখ্য তেলের থেকেও অতিরিক্তি এক পাউন্ড তেল ঘুষ হিসাবে নির্বাসিতদের বের করতে হত। তাছাড়াও আপনারা যদি ভাবেন প্রচুর নারিকেল বা সরিষা দিয়ে দেওয়া হত তেল নিষ্কাষনের জন্য, তবে সে গুড়ে বালি। অতিরিক্ত তেল ব্যাড়ি সাহেবের তহরী ছিল এবং তেল নিষ্কাষণের জন্য খোল ভুষির পরিমাণ অধিক থাকত। সৌরিয়া মহাশয়ের মনমর্জির কথা মোটা ব্যাড়ির কানে পৌঁছাল।

A wing of Cellular jail at Port Blair, Andaman and Nicobar India


 একদিন সকালে মোটা ব্যাড়ি সৌরিয়া মহাশয়কে অল্প বয়স্ক দেখে তার কাছ থেকে কাজ আদায়ের জন্য খুব করে নোংরা , অশ্লীল সহযোগে নেটিভ ইন্ডিয়ান, ব্ল্যাকি, কালা আদমি ইত্যাদি অকথ্য ভাষায় গালি দিতে লাগল। সৌরিয়া মহাশয় ফর্সা লালমুখো বিদেশীর এমন ঔদ্ধত্য কিছুতেই সহ্য করতে পারলেন না। প্রতিদান স্বরূপ ব্যাড়ির ভুঁড়িতে এক লাথি মেরে ভূতলশায়িত করে দিলেন এবং তার উপর আরো যথাসাধ্য প্রয়োগ করার চেষ্টা করলেন। ইতিমধ্যে জেলের জমাদার, পাঠান রক্ষী, টিনডেল, ওয়ার্ডারা এসে পরমানন্দ সৌরিয়া মহাশয়কে ঘিরে ফেলল, ফলে তাঁকেও কিছু উত্তম মধ্যম ভোগ করতে হল। কিন্তু কি অদ্ভুত মহামায়ার সন্তান , এত প্রহারেও তাঁর মধ্যে আনন্দের কোনো অভাব হল না। তাঁর যেমনটি নাম, সর্বদাই তাঁর মনে সে ভাবের প্রাবল্য লক্ষিত হত। 


পরমানন্দ সৌরিয়ার যখন ফাঁসির হুকুম হয় তখনও তাঁর মধ্যে কি এক অনাবিল পরমানন্দ ভাব বিরাজ করেছিল। সেই ভাব দেখে বিচারক, পুলিশ, মুহুরী, বিবাদী সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। এমনও হয় কি ? কিন্তু ওই যে, আমাদের দেশের বীর সন্তানেরা বেদ ,উপনিষদ, গীতার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন। তাই মৃত্যুর সাজায় ভয় কি ? শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন – 
অবিনাশি তু তদ্বিদ্ধি যেন সর্বমিদং ততম্ ।বিনাশমব্যয়স্যাস্য ন কশ্চিৎ কর্তুমর্হতি ॥
যা সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে, তাকে তুমি অবিনাশী বলে জানবে৷ সেই অব্যয় আত্মাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়।

জড় দেহের ধর্মই হচ্ছে বিনাশ প্রাপ্ত হওয়া । জড় দেহ এই মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে , নয়তো একশ বছর পরে ধ্বংস হতে পারে , কিন্তু একদিন না একদিন এর ধ্বংস হবেই । অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আত্মাকে টিকিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই । কিন্তু আত্মা এত সূক্ষ্ম যে , তাকে দেখাই যায় না , সুতরাং কোন শত্রুই তাকে হত্যা করতে পারে না । পূর্ববর্তী শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে , আত্মা এত সূক্ষ্ম যে , তাকে পরিমাপ করাও অসম্ভব । সুতরাং দেহ ও আত্মা এই দুই তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে জীবের স্বরূপ বিচার করলে তখন আর কোন অনুশোচনা থাকতে পারে না , কারণ মানুষের প্রকৃত স্বরূপ আত্মা চিরশাশ্বত এবং কোন অবস্থাতেই তার বিনাশ হয় না , আর জড় দেহ হচ্ছে অনিত্য , একদিন না একদিন যখন তার ধ্বংস হবেই , তখন কোনভাবেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য অথবা চিরকালের জন্য দেহটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায় না । পূর্বকৃত কর্ম অনুসারে সমগ্র আত্মার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ এক – একটি জড় দেহ প্রাপ্ত হয় । সেই জন্যই শাস্ত্রের নির্দেশ অনুসারে জীবনযাপন করা উচিত । শাস্ত্রের নির্দেশ অনুসারে কর্তব্যকর্ম অনুষ্ঠান করার ফলে উপযুক্ত দেহ প্রাপ্ত হয়ে জীবাত্মা জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে । বেদান্ত সূত্রে আত্মাকে আলোক বলে সম্বোধন করা হয়েছে , কারণ সে হচ্ছে পরম আলোকের অংশ । সূর্যের আলোক যেমন সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডকে প্রতিপালন করে , তেমনই আত্মার আলোকও জড় দেহকে প্রতিপালন করে । যে মুহূর্তে আত্মা তার দেহটি পরিত্যাগ করে , তখন থেকেই সেই দেহটি পচতে শুরু করে । এর থেকে বোঝা যায় , আত্মাই এই দেহটিকে প্রতিপালন করে । দেহে আত্মা থাকে বলেই দেহটিকে এত সুন্দর বলে মনে হয় , কিন্তু আত্মা ব্যতীত দেহের কোনই গুরুত্ব নেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাই অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছিলেন , দেহাত্মবুদ্ধি পরিত্যাগ করে ধর্ম সংস্থাপনের জন্য যুদ্ধ করতে ।

 বিচারসভায় পরমানন্দের অমনভাব বীরত্ব দেখে তাকে বত্রিশ বেত্রাঘাত এবং তিনমাসের বেড়ী পড়তে হল। আর পুনঃ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত কুঠিতে নির্জন বাসের ব্যবস্থা হল। 


উক্ত ঘটনার পর শ্রী পরমানন্দ সৌরিয়া তিন দিবস নির্জলা উপবাসে থাকলেন। চতুর্থ দিন পেট মোটা ব্যাড়ি এসে তাঁকে অভুক্ত থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তার উত্তরে সৌরিয়া মহাশয় বললেন, ” ভগবানের নিকট প্রার্থনা জানাবার জন্য আমি উপবাস করছি। ” ব্যাড়ি জিজ্ঞাসা করলেন ” কি প্রার্থনা ?” তাঁর উত্তরে তিনি বললেন , ” ইংরেজ রাজ্যের ধ্বংস কামনা করছি”… তার মুখে এমন কথা শুনে ব্যাড়ি সেই স্থান ত্যাগ করলেন…..

তথ্যঃ আন্দামানে দশ বৎসর
©দুর্গেশনন্দিনী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.