আচার্য প্রণবানন্দজীর জীবদ্দশায় একবার ঠিক হয় যে ব্রহ্মদেশে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্ম প্রচারের জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একদল প্রবীণ সন্ন্যাসী ব্রহ্মদেশে যাবেন। সম্পূর্ণ অপরিচিত দেশে যাওয়ার আগে তাঁরা কলিকাতা পৌরনিগমের তদানীন্তন মেয়র সুভাষ চন্দ্র বোসের নিকট যান একটি পরিচয়পত্রের জন্য। নেতাজীর বাসভবনে গেলে তিনি সন্ন্যাসীদের দেখেই উঠে দাঁড়িয়ে বললেন- "বলুন স্বামীজী, আমি আপনাদের কী সেবা করতে পারি?" স্বামীজীরা মেয়র হিসাবে তাঁর কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র চাইলে তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর প্যাডে লিখে দেন-
“The Bharat Sevashram Sangha is a very excellent institution devoted to social service and humanitarian works. The Sangha has its Head Office in Calcutta and different branches in different parts of the country. The members of the Sangha are going to Burma primarily with the object of seeking the patronage of public. Since they have been doing very great work, I shall be glad if they get help of the generous Public.”
Sd/- Subhas Chandra Bose
Mayor, Calcutta Corporation

সুভাষচন্দ্রের ত্যাগ,সংযম ও সৎসাহসের প্রশংসা করতেন স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ।মতিলাল নেহেরু যেবার কংগ্রেস সভাপতিরূপে কোলকাতায় এসেছিলেন, সেবার সৈনিকের বেশে সুভাষচন্দ্রের একখানি ফটো প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতার দৈনিক পত্রিকায়।তাঁর সেই বীরমূর্তি দেখে গুরুমহারাজ বলেছিলেন – “সুভাষ একদিন সত্য সত্যই এই বেশে একটি সৈনিক বাহিনী তৈরী করে দেশোদ্ধারের চেষ্টা করবে।” পরবর্তীকালে যুগাচার্যের এই ভবিষ্যতবাণী সত্য হয়েছিল ।
নেতাজী সুভাষচন্দ্রের পিতা ও মাতা প্রণবানন্দজী মহারাজের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং নেতাজী নিজে কয়েকবার মহারাজের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন।
[এই ছবিটি এঁকেছেন শীর্ষ আচার্য্য]
(তথ্যসূত্র- স্বামী অরুণানন্দ, শ্রী শ্রী প্রণবানন্দ চরিতামৃত, পৃষ্ঠা-১০৪-১০৫।)
অয়ন ব্যানার্জ্জী
২৩.০১.২০২০

