করোনার জেরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার জন্য যে ভারত টিমই গড়তেই পারছিল না, তারাই শনিবার চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করে। উগান্ডাকে তারা শুধু ৩২৬ রানেই হারায়নি, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে রাজা বাওয়ারা।
ভারতের প্রথম একাদশের ৫ জন প্লেয়ারই করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতেও দমানো যায়নি টিম ইন্ডিয়াকে। দুরন্ত ছন্দে তারা খড়কুটোর মতোই ৩২৬ রানে উড়িয়ে দিয়েছে উগান্ডাকে। এটাই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে বড় রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। এর আগে এত বড় রানের ব্যবধানে ভারত কখনও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনও ম্য়াচ জেতেনি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এত দিন ২০০৪ সালে ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৭০ রানে জয়টাই ছিল রেকর্ড। ২০১৪ সালে পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে আবার ২৪৫ রানে শারজায় জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০০২ সালে অকল্যান্ডে কানাডার বিরুদ্ধে আবার ২৪২ রানে জয় পেয়েছিল তারা। আর ২০০৬ সালে কলম্বোতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩৪ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। এই সব পরিসংখ্যানকেই শনিবার ছাপিয়ে গিয়েছে মেন ইন ব্লু।
শনিবার টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল উগান্ডা। আর তারপর তারা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দলের খেলা দেখেছে। যদিও শুরুতে ৮৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। কিন্তু অঙ্কৃশ রঘুবংশী এবং রাজ বাওয়া- দুই ক্রিকেটারের দুরন্ত শতরানই ভারতকে ৪০৫ রানের বড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। তারা তৃতীয় উইকেটে যোগ করে ২০৬ রান। অঙ্কৃশ ১২০ বলে ১৪৪ রান করেন। এই ইনিংস রয়েছে ২২টি চার এবং চারটি ছক্কা। আর রাজ বাওয়া করেন ১০৮ বলে ১৬২ রান। তিনি ১৪টি চার এবং ৮টি ছক্কা হাঁকান। ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৪০৫ রানে। উগান্ডার পাসকাল মুরুনগি ৩ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে মাত্র ৭৯ রানে গুটিয়ে যায় উগান্ডার ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন সেই পাসকাল মুরুনগিই। তিনিই একা ব্যাট এবং বল হাতে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছেন। উগান্ডার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ১১ করেছেন রোনাল্ড অপিও। এরপর ৫-এর বেশি কোনও ব্যাটসম্যানই রান করতে পারেননি। ওপেন করতে নেমে ইসাক আতেগেকা রিটায়ার্ড হার্ট হন। বাকি ৯ উইকেটের মধ্যে ৪ উইকেট একাই তুলে নেন নিশান্ত সিন্ধু। রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার নিয়েছেন ২ উইকেট। বাসু ভাটস এবং ভিকি ওস্তওয়াল নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। একটি রান আউট হয়েছে।
এই জয়ের ফলে ভারত গ্রুপ বি-র লিগ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে পৌঁছে গেল। তারা তিনটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জয় পেয়েছে। এই গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।