ক্যামেরা চালু থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না পুরনো ছবি। আদালতের নির্দেশে বন্দি নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্টে এমনই জানাল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এদিন পেশ করা রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে একজন ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন আদালতে রিপোর্ট পেশ করে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে তার ফুটেজ হার্ড ডিস্ক থেকে সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। অভিজ্ঞ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েও কাজ হয়নি। এই রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞাপন ও বিচারপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, ‘নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে অত রাতে কেন ছাড়া হল বন্দিকে? কেন সিসিটিভি ফুটেজে তার গতিবিধি দেখা যাচ্ছে না? এমনকী জেলের নথিতেও তার উল্লেখ নেই?’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আদালত জানিয়েছে, মামলার সমস্ত নথি অ্যাডভোকেট জেনারেলকে দিতে হবে। তিনি ডিজিপি পদমর্যাদার একজন আধিকারিককে ঘটনার তদন্তভার দেবেন। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
গত ২১ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গায়েব হয়ে যান চোলাই মদ বিক্রিতে অভিযুক্ত রঞ্জিত ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি। ওই দিন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। পরদিন সকালে পরিবারের লোকেরা তাঁকে সংশোধনাগারে নিতে এসে জানতে পারেন, আগের রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেই থেকে কোনও খোঁজ নেই রঞ্জিতবাবুর।