ধন্যবাদ কেন্দ্রীয় সরকারকে জনসমক্ষে এই বিতর্কের ইতি টানার জন্য।
কিছুদিন আগে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ওপর নির্মিত পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়ার জন্য যারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তি সংগত ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন এবং যারা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন , সবাই এখন আশাকরি নিজেদের প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেছেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী টুইটারের মাধ্যমে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে প্রতি বছর প্রতিটি রাজ্য , ভারত সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় এবং প্রতিটি সরকারি সংস্থা থেকে অজস্র ট্যাবলোর আবেদন আসে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সবগুলোর মধ্যে থেকে মাত্র কয়েকটা নির্বাচিত করেন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের সময়ের কথা মাথায় রেখে। এই বছরও (২০২২) ৫৯টি ট্যাবলোর আবেদন এসেছে যার মধ্যে ভারত সরকার মাত্র ২১টি ট্যাবলো নির্বাচিত করেছে। সেহেতু কিছু রাজ্য সরকার বা মন্ত্রণালয় বা সরকারি সংস্থার ট্যাবলো বাদ পড়েছে।
আমরা গত বছরগুলির দিকে যদি দেখি তাহলে দেখতে পারব কেরল রাজ্যের ট্যাবলো ২০১৮ সালে এবং ২০২১ সালে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিল। তামিলনাড়ুর ট্যাবলো ২০১৬ , ২০১৭ , ২০১৯ , ২০২০ এবং ২০২১ সালে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিল। পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো ২০১৬ , ২০১৭ , ২০১৯ এবং ২০২১ সালে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিল।
আর , এবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর যা বিষয়বস্তু ছিল অর্থাৎ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। ঠিক একই বিষয়বস্তুর ট্যাবলোর জন্য ভারত সরকারের “কেন্দ্রীয় লোক নির্মাণ বিভাগ” (CPWD) দপ্তর আগেই আবেদন জানিয়েছে তাই ভারত সরকার একই বিষয়বস্তুর দুটি ট্যাবলোর মধ্যে একটি কে নির্বাচিত করেছে।
হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আগে কেন্দ্রীয় লোক নির্মাণ বিভাগ এই বিষয়বস্তুর ট্যাবলোর আবেদন করেছে তাই পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর এবার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সুতরাং , পুরো বিষয় না জেনে যারা অযথা বিতর্ক করছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার কে বাঙালি তথা নেতাজী বিরোধী বলছেন তারা একটু সম্পূর্ণ সত্য জেনে নিজের মতামত দিন।
আর হ্যাঁ , আপনাদের মনে রাখা দরকার এই কেন্দ্রীয় সরকারই অতীতে আজাদ হিন্দ সরকার কে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং নেতাজী কে ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে আখ্যা দিয়েছে।
সৌমিক সূত্রধর