পাক কারখানায় তৈরি স্নাইপার রাইফেল, ল্যান্ডমাইন অমরনাথ গুহার কাছে, উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে হতে পারে হামলা

চন্দনওয়াড়ি ও বালতাল, অমরনাথ যাওয়ার এই দুই পথেই প্রবল হয়ে উঠেছে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা। যাত্রীদের ফিরিয়ে এনে অমরনাথ গুহার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কড়া পাহাড়া বসানো হয়েছে। সেনা ও গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই দুই রুট দিয়েই হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। বিশেষত পাকিস্তানের জইশ শিবিরের যে জঙ্গিরা ছড়িয়ে পড়েছে উপত্যকায় তারাই ঘাপটি মেরে রয়েছে অমরনাথ যাওয়ার পথের আনাচ কানাচে।

সেনা সূত্রে খবর, প্যারাট্রুপার নামিয়ে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি। গতকালই গুহার ৩ কিলোমিটার দূরত্বে সঙ্গমের কাছে স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার করেছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেক্টর তিনের জওয়ানরা। জানা গেছে, এই রাইফেলের পাল্লা প্রায় দেড় কিলোমিটারের কাছাকাছি। তৈরি পাকিস্তানের অস্ত্রকারখানায়।

ভারতীয় সেনার দাবি, আমেরিকার তৈরি টেলিস্কোপ লাগানো এই এম-২৪ স্নাইপার রাইফেল থাকত আফগান সেনাবাহিনীর হাতে। পরে আফগান বাহিনীর থেকে সেগুলি লুঠ করে নেয় তালিবান জঙ্গিরা। তালিবানদের থেকেই জইশ শিবিরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছয় এই দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই ধরনের স্নাইপার রাইফেল পাকিস্তান থেকে উপত্যকার জইশ ঘাঁটিগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

অমরনাথ গুহা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে, শেষনাগের উত্তর-পূর্বে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেক্টর ওয়ানের জওয়ানরা উদ্ধার করেছেন একাধিক ল্যান্ডমাইন। পুণ্যার্থীদের যাত্রাপথেই সেগুলো পুঁতে রাখা হয়েছিল। পুরো যাত্রাপথ জঙ্গিমুক্ত ও নিরাপদ করতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে বলে সেনা ও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

সেনা সূত্রে খবর, অমরনাথ যাওয়ার রাস্তাকে জঙ্গিমুক্ত করতে কাজে নেমেছে ‘অপারেশন শিবা।’ এই বাহিনীকে তথ্যের যোগান দিচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গেছে, জইশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিনটি দল ইতিমধ্যেই পুঞ্চের নেজাপিরের দিকে রওনা দিয়েছে। বারুদ, শের, শক্তি ও কাইয়ান সেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালাতে পারে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.