কাশ্মীরে পৌঁছে গিয়েছে ৩৮ হাজার অতিরিক্ত সেনা। অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রেখে যাত্রীদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার থেকে ৩৬ ঘন্টার সংঘর্ষে সাত জঙ্গিকে খতম করেছে সেনাবাহিনী। হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আহমেদ শাহ গিলানি সোশ্যাল মিডিয়ায় গলা ফাটিয়ে বলছেন, কাশ্মীরে শতাব্দীর সব থেকে বড় গণহত্যা হতে চলেছে!
এ সব কীসের লক্ষণ? এখনও স্পষ্ট নয়। ধোঁয়াশা রয়েছে। তার মধ্যেই কাল সকালে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন?
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকের অ্যাজেন্ডা সরকারের সব থেকে গোপন বিষয়। সরকারের গতিবিধি, আচরণ দেখে কূটনীতিক ও প্রাক্তন আমলারা শুধু আন্দাজ করতে পারেন মাত্র। যাঁদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখে বড় কোনও পদক্ষেপের পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র।
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির শেষ এমন কোনও জরুরি বৈঠক হয়েছিল পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ের উপর জঙ্গি হামলার পর। তখন মন্ত্রিসভার ওই বৈঠক ডেকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাক মদত পুষ্ট জঙ্গি হামলার কড়ায়গণ্ডায় জবাব দেবে ভারত। বায়ুসেনাকে সব অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কখন ও কবে জবাব দেওয়া হবে তারা ঠিক করবে।
কিন্তু এ বার?
সে বার মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ভোট বিতর্ককে প্রভাবিত করার। কিন্তু এখন কোনও আশু ভোট নেই। বরং সেনা কর্তারা ছবি, তথ্য প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তানের তরফে কেমন নাশকতার চেষ্টা হচ্ছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সরাসরি পরিকাঠামো ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী।
তা হলে?
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরগুলি ধ্বংস করতে কি ফের পদক্ষেপ করবে নয়াদিল্লি?
সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, গত ৭২ ঘন্টা ধরে উপত্যকায় ও জম্মুতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গি ও উপত্যকার জঙ্গিদের নিকেশ করার লক্ষ্য নিয়েছে সেনাবাহিনী। কাশ্মীরে যে ভাবেই হোক স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টাতেও তৎপর সেনা ও জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ। যুব সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পরিবারের অভিভাবকরা যাতে সচেতন হন সে জন্য প্রচার করা হচ্ছে।
সব কিছু মিলিয়ে বড় কিছু যেন ঘটতে চলেছে কাশ্মীরে।