প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল বিকানির-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে আচমকা ঝাঁকুনি অনুভব করেন চালক। এরপরেই এমার্জেন্সি ব্রেক চাপেন তিনি। তারপর ট্রেন থেকে নেমে তিনি দেখেন দেশলাই বাক্সের মতো উলটে পালটে গিয়েছে রেলের ১২টি ইঞ্জিন। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পেছনে কী কারোর গাফিলতি রয়েছে? নাকি ইঞ্জিনে বা যন্ত্রাংশের কোনও ত্রুটি ছিল? এবার ময়নাগুড়ির সেই অভিশপ্ত ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। ময়নাগুড়ি জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জোরে ব্রেক কষার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী? এদিকে রেলমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইঞ্জিনে কী ধরনের ত্রুটি ছিল, বা সেই ত্রুটির পেছনে কী কারণ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ট্রাকশন মোটরস কোনওভাবে খুলে পড়ে গিয়েছিল। সেটা লোকো পাইলট ও সহকারি লোকো পাইলট আঁচ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী রেলের যন্ত্রাংশের দেখভাল ঠিকঠাক হত না? তার জেরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ৯জনের প্রাণ।