সিডিএস বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ? জানাল বায়ুসেনা

ডিসেম্বরের ৮ তারিখে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সিডিএস বিপিন রাওয়াতের। ঘটনা ঘিরে অন্তর্ঘাত থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে বহু জল্পনা এতদিন ধরে চর্চায় ছিল। তবে এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে এই দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট করা হয়। এক বিবৃতিতে বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘ উপত্যকায় অপ্রত্যাশিতভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তনে মেঘের মধ্যে কপ্টার ঢুকে যেতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ বিবৃতিতে বায়ুসেনা জানিয়েছে, পাইলটের বিভ্রান্তিবোধ তথা ‘স্প্যাটিয়াল ডিসওরিয়েন্টেশন’ এর জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।

দেশের প্রথম সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে সেনার সমস্ত স্তরে শোকের ছায়া নেমে আসে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, জেনারেল রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনায় ‘কোর্ট অফ এনকোয়্যারি’ যাবতীয় অন্তর্ঘাত ও উদাসীনতার তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বরের ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয় কপ্টার দুর্ঘটনায়। তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে ওই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়ে কপ্টার। উল্লেখ্য,সুলুর এয়ারবেস থেকে ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন সস্ত্রীয় সিডিএস রাওয়াত।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

উল্লেখ্য, বায়ুসেনার তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সিডিএস বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে, পাইলটের স্থানিক বিভ্রান্তিকে দায়ী করা হয়েছে। মনে করা হয়, সেদিন সিডিএস-এর উড়ান যে পরিস্থিতির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল , তাতে পরিস্থিতির কথা খুব আগে থেকে আঁচ করতে পারেননা পাইলট। যখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, তখন তার চূড়ান্ত পর্যায় স্পষ্ট হয়। মূলত, রিপোর্ট বলছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান মেঘের মধ্যে প্রবেশ করতেই সমস্যা তৈরি হয়। নিজের বিবৃতিতে বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘তদন্তকারী দল বিশ্লেষণ করেছে বিমানের ডেটা রেকর্ডার আর ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের যাতে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়।’ উল্লেখ্য, এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি বায়ুসেনার তরফে এমআই -১৭ভি৫ (যে কপ্টারে ছিলেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জন) নিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি ও তথ্য পেশ করা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে। উল্লেখ্য, বায়ুসেনা সিডিএসএর এই কপ্টার দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে কিছু রেকমেন্ডেশনও পেশ করেছে। উল্লেখ্য, যে হেলিকপ্টারে এই ঘটনা ঘটেছে,তা রাশিয়ান কপ্টার। এমআই -১৭ভি৫ এই হেলিকপ্টার অত্যন্ত নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১,১৮০ কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.