ইউনিভার্সাল টিকার তকমা পেল কোভ্যাক্সিন। এমনটাই জানাল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের শরীরেও সমান কার্যকর কোভ্যাক্সিন। আর এই ঘোষণা করেই ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়, আমরা বৈশ্বিক একটি টিকা তৈরির আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছি। পাশাপাশি টিকার লাইসেন্সিং সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
এর আগে গত সপ্তাহে কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক দাবি করেছিল যে তাদের তৈরি টিকা শুধু নিরাপদই নয়, করোনা ভাইরাসের সকল প্রজাতিকে প্রতিরোধে সক্ষম কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ। এক বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে টিকা প্রথম দু’টি ডোজের তুলনায় বুস্টার ডোজ পাঁচগুণ বেশি ভাইরাসের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে সক্ষম৷ তাদের তৈরি কোভিড টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ কার্যকর ক্ষমতা প্রদানে সক্ষম বলেও দাবি করেছে হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাটি৷ বলা হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে ডবল ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যায়৷ সেক্ষেত্রে ছয়মাস পর বুস্টার ডোজ দিলে শরীরে নতুন করে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে৷ এতে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে সুবিধা হবে৷ পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়৷
এদিকে গত ৩ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি৷ এক্ষেত্রে একমাত্র টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন৷ তাই দেশের কিশোর কিশোরীদের শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন টিকাই দেওয়া হচ্ছে।