বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে চারজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। এই আবহে রাতভর উদ্ধারকাজ চলেছে দুর্ঘটনাস্থলে। পরে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হয়েছে। এদিকে এখনও প্রায় শতাধিক আহতের চিকিত্সা চলছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অনেক যাত্রীর শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর।
ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা বসু বলেন, ‘অনেক যাত্রী এখনও গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। এই আবহে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ক্রেন ব্যবহার করে দুমড়ে যাওয়া কামরাগুলিকে সরানোর কাজ করা হচ্ছে। রাতে যাতে উদ্ধারকাজ জারি রাখা যায় তাই দুর্ঘটনাস্থলে সার্চলাইট ও জেনারেটর পাঠিয়েছি।’ তিনি জানান, আহতদের ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাতের দিকে এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন হওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয় বলে জানান তিনি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘কুয়াশার ঘন চাদরের মাঝেও সমস্য দূরে সরিয়ে রেখে উদ্ধারকাজ জারি রাখেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।’
উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ যখন ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাটি হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে কোভিড পর্যালোচনা বৈঠকে ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাঝ বৈঠকেই বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মমতার নির্দেশ পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজ্যের পদস্থ আধিকারিক, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, আইজি নর্থ বেঙ্গল সহ অনেকে। রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও একে একে ঘটনাস্থলে যেতে শুরু করেন। রাতে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবও ঘটনাস্থলে যান। পরে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে রেলমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ। রেলমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে ফোন করে গোটা ঘটনার ব্যাপারে জেনেছেন। উদ্ধারকাজের অগ্রগতির ব্যাপারেও খোঁজ নিয়েছেন তিনি।’