একই পরিবারের তিন বোন নিখোঁজ। তবে ধাপে ধাপে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর কেউ ফেরেনি। এই নিয়ে পরিবারের চিন্তার অন্ত নেই। নিখোঁজ নাকি অপহরণ? ভেবে কুল–কিনারা পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। একই স্কুলের তিন ছাত্রী। একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় বেজায় চিন্তা পেরেছে পুলিশ। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে নদীয়ায়? পরিবার সূত্রে খবর, গত ২ জানুয়ারি বাড়ির বড় মেয়ে একটু আসছি, তাড়াতাড়ি ফিরব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। কিন্তু দিন গড়িয়ে রাত এবং পরেরদিন গড়িয়ে গেলেও মেয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। এমনকী কোনও খোঁজ মেলেনি। আবার ঠিক দু’দিন পর ৪ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বেরোয় তার ছোট দুই বোন। তারপর তারাও নিখোঁজ।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন নাবালিকা বোনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নদীয়ার চাকদহ থানার দুধকুমার এলাকাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই তিন বোন সম্পর্কে খুড়তুতো–জ্যাঠতুতো বোন। বড়দিদি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। বাকি দু’জন নবম এবং দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ৫ জানুয়ারি চাকদহ থানা নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেছে তাদের পরিবার। এখনও তাদের কোনও সন্ধান মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ জানুয়ারি চাকদহ থানা এলাকার বিষ্ণুপুরের একটি ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে পালায় দুই নাবালিকা। তার আগে বড়দিদি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্যেকের মোবাইল ফোন সুইচড অফ। মনে করা হচ্ছে, এরা তিনজন কাছাকাছি আছে। এটা কোনও অপহরণের ঘটনা নয়। তবু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনজনই বিষ্ণুপুর গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।