এক মাস আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন জকোভিচ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন টেনিস বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জকোভিচের আইনজীবী। এরপরেও অস্ট্রেলিয়ায় আসার অনুমতি পেয়েছিলেন টেনিস তারকা। আদালতে এমনই তথ্য দিলেন জকোভিচের আইনজীবী। জকোভিচ ভিসা বিতর্কে নতুন মোড়। জকোভিচের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন টেনিস তারকা। এরপরে অবশ্য তিনি সংক্রমণের লক্ষণগুলি অনুভব করেননি। টিকা দেওয়ার নিয়ম থেকে চিকিৎসা ছাড় পেয়েছিলেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণের আগে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে লিখিত অনুমোদন পেয়েছিলেন। শনিবার আদালতে জকোভিচের আইনজীবীরা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। নথিতে উল্লেখ আছে, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম পিসিআর পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ছিলেন জকোভিচ। উল্লেখ্য, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সুস্থতার নির্দিষ্ট সময় পর টিকা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টেনিস তারকার আইনজীবী জানিয়েছেন, করোনা পজিটিভ রিপোর্টের কারণেই মেডিকেল ছাড়পত্র পেয়েছিলেন জকোভিচ।
জকোভিচ, বাধ্যতামূলক টিকাদানের একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক। তিনি কখনই করোনার টিকা নিতে চাননি। ১৭ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তার ২১ তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আশায় অস্ট্রেলিয়ার একটি ফেডারেল আদালতে তার ভিসা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এদিকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফ থেকে বিদেশীদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এখন বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাদের প্রবেশ মঞ্জুর করা হয়েছে তাদের অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া বা একটি চিকিৎসা ছাড় থাকতে হবে। এমন অবস্থায় এই রিপোর্ট জকোভিচ ভিসা বিতর্কে নতুন মোড় দেবে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়া জকোভিচের। এরপর আইনি মামলা করেন টেনিস তারকা। তার আইনজীবী বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে জকোভিচ প্রথমবারের মতো সংক্রামিত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন ১৪ দিন পরেও তার করোনার কোনও লক্ষণ নেই। আইনজীবীদের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারী, সার্বিয়ান ক্রীড়া তারকা স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে জকোভিচকে একটি নথি পাঠান হয়, যেখানে বলা হয় তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কোয়ারেন্টাইন-মুক্ত আগমনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছেন।