করোনা আবহে ৫ রাজ্যে মনোনয়ন জমা করা যাবে অনলাইনে; রোড শো, বাইক ব়্যালিতে ‘না

করোনা আবহে ফের একবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশে। গতবছর এই ভাবেই পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের সময় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল দেশের উপর। আর এবার তো ওমিক্রন ত্রাসে তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 

এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সংক্রমণ রুখতে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সব বুথই গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থিত থাকবে। এক একটি বুথে সর্বোচ্চ ১২৫০ ভোটার থাকবে। এর জেরে গতবারের তুলনায় পোলিং বুথের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ শতাংশ। পাঁচ রাজ্যে মোট ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৬৮টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে মাস্ক পরে থাকতে হবে ভোটকর্মীদের। ভোটারদেরও মাস্ক পরে ভোটদান করতে যাওয়া বাধ্যতামূলক। তাছাড়া বুথে স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি ভোটের সময়কাল এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

কোভিড আক্রান্ত বা ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা থাকবে। তাছাড়া প্রার্থীদের অনলাইনেই মনোয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বান কমিশন। সাধারণত দেখা যায়, মনোয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থী বিশাল পথসভা করে অনুগামীদের সঙ্গে যান। সেই জনসমাগম রুখতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভায় সব নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা নিশঅচিত করতে ৯০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে আরও বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। 

পাশাপাশি করোনা নিয়ম পালন করে প্রচারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের কমিশনের তরফে। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করার জন্য প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোনও রোড শো, পদ যাত্রা, বাইক ব়্যালি করা যাবে না ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে। রাত ৮টা থেকে আগামী দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। পরে কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে সভায় আগতদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া যাবে। তাছাড়া দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচজন যোগ দেওয়া হবে। এই নিয়ম ভাঙলে বিপর্যয় মোকালিবা ইনের অধীনে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মুখ্য নির্বাচক কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, করোনা আবহে সব ভোটকর্মীদের কোভিড যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এবং ভোটকর্মীদের করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ (প্রিকশনারি ডোজ) দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে সাধারণ মানুষের টিকার গতি বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি। প্রতিটি জেলা স্তরে স্বাস্থ্য নোডাল অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.