দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। করোনার এই রূপটিকে প্রায় ঠেকিয়ে রাখাই যাচ্ছে না। তবে কারও কারও মত, এভাবে সংক্রমণ বাড়ায় নাকি সুবিধা হচ্ছে মানুষের। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ছে তাতে। যদিও চিকিৎসকরা এই মতের সঙ্গে একমত নন। তাঁদের মতে, ওমিক্রনকে হাল্কা ভাবে নিলে সকলেই ভুল করবেন। কারণ এর পরবর্তী পর্যায়ে ওমিক্রনের হাত ধরে কোন সমস্যা আসতে পারে, কেউ জানেন না।
একই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এরও। সম্প্রতি হু-এর কোভিড গবেষকদলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, লাগামছাড়া ভাবে ওমিক্রনে সংক্রমণ হওয়াটা মোটেই কোনও কাজের কথা নয়। বরং এটাকে আটকে রাখা উচিত। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কিন্তু কীভাবে ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকানো যাবে? মারিয়ার মতে, তার জন্য বুঝতে হবে, ঠিক কী কী কারণে ওমিক্রন এত বাড়ছে। তাঁর মতে, এর পিছনে রয়েছে, তিনটি কারণ। এই কারণগুলির জন্য এত দ্রুত বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী:
- অনেকটা মিউটেশন হয়েছে কোভিডের। নতুন রূপটি এখন সহজেই মানুষের শরীরের কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এবং সহজেই শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘Immune Escape’ বলা হয়, তা পেয়ে গিয়েছে ওমিক্রন। এর অর্থ, এখন করোনার এই রূপটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই পাশ কাটিয়ে যেতে পারে। হালে কোভিডে সংক্রমিত হলেও শরীরে যে অ্যান্টিবডি থাকে, তাকে ফাঁকি দিতে পারে এই ওমিক্রন। এমনকী টিকা নেওয়া থাকলেও, তার অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে পারছে এটি।
- এটি Upper Respiratory Track-এ সংক্রমিত হচ্ছে। করোনার অন্য রূপগুলি ফুসফুসে বেশি মাত্রায় ছড়াতো। ফলে এক জনের থেকে অন্য জনে পৌঁছোতে যতটা সময় লাগত, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে লাগছে তার চেয়ে অনেক কম সময়।
মূলত এই তিনটি কারণেই ওমিক্রন এত দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মত মারিয়ার। তাছাড়া উত্তর গোলার্ধে এখন শীতকাল। ফলে বাড়ির ভিতরে কাছাকাছির মধ্যে কাটানোর পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। তাই বাড়ছে সংক্রমণ।