অবৈধভাবে ৬০ বছর ধরে দখল করে রেখেছে। প্যাংগং সো লেকের সেই এলাকায় সেতু নির্মাণ করছে চিন। এমনই অভিযোগ তুলল ভারত। সেইসঙ্গে তিব্বত নিয়ে একটি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সাংসদ এবং মন্ত্রীদের যে ভাষায় বেজিংয়ের এক প্রতিনিধি চিঠি পাঠিয়েছেন, তা কোনওমতেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানাল নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, এরকম অবৈধভাবে কোনও এলাকাকে নিজেদের দখলে রাখার বিষয়টি কখনও মেনে নেয়নি ভারত। ‘এই কাজের (সেতু তৈরি) দিকে নজর রেখেছে সরকার। সেতুটি যে এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে, তা প্রায় ৬০ বছর ধরে অবৈধভাবে নিজেদের দখলে রেখেছে চিন। আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয়, সেজন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে সরকার।’
সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে (@detresfa_ টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা হয়েছে) দেখা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্যাংগং লেকের দুই প্রান্তকে যুক্ত করার জন্য একটি সেতু নির্মাণ করছে চিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই এলাকায় যাতে সহজেই পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ফৌজিরা যেতে পারে, সেজন্য ওই সেতু তৈরি করছে বেজিং। যা ভারতের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে।
চিনের সেই রক্তচক্ষুর পালটা কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। চিন একতরফা পদক্ষেপ করলে ভারতও যে পালটা দিতে সক্ষম, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, দেশের সুরক্ষা যাতে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হয়, সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিকাঠামো জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘(দেশের সুরক্ষার জন্য) গত সাত বছর ধরে সীমান্তে পরিকাঠমো তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখজনকভাবে বাজেট বাড়িয়েছে সরকার। আগে যত হয়েছিল, তার থেকে ঢের বেশি সংখ্যক সেতু এবং রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।’