প্রতিটি থানায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা, মিলছে না জীবাণুনাশক

করোনাভাইরাস এখন গোটা রাজ্যে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। আর তাতে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক থেকে পুলিশ কর্মীরাও। এমনকী লালবাজারে থাবা বসিয়েছে এই সংক্রমণ। একটি থানায় অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর–সহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। অন্যান্য থানায় মোটামুটি একই ছবি। এই পরিস্থিতিতে থানা জীবাণুমুক্ত করতেই বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী লালবাজার থেকে চেয়েও জীবাণুনাশক মিলছে না বলে অভিযোগ। তাই নিজেদের উদ্যোগে জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।

তথ্য কী বলছে?‌ লালবাজার সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত ১২০ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এই সংক্রমণ কাত করে দিয়েছে লালবাজারের একজন অতিরিক্ত কমিশনার, একজন যুগ্ম কমিশনার, ডিসি ডিডি (স্পেশাল)–সহ একাধিক আইপিএস। সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকরা। আবার বিভিন্ন থানায় পুলিশ কর্মীরা এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে শহরকে নিরাপত্তা দেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুর থানায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল রয়েছেন। অন্যান্য থানা থেকে একই খবর পাওয়া যাচ্ছে। থানায় আসা নাগরিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ও হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা হয়েছে। থানার বিভিন্ন অংশেও জীবাণুনাশের কাজ চলছে। তবে প্রতিটি থানা তাদের চাহিদা মতো জীবাণুনাশক পাচ্ছে না। তাই নিজেদের চেষ্টায় সেই ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।

কোন কোন থানায় এই অবস্থা?‌ জানা গিয়েছে, গল্ফগ্রিন থানায় ১০ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এই একই খবর মিলেছে পার্ক স্ট্রিট, বড়বাজার, মানিকতলা, কসবা, একবালপুর, ভবানীপুর–সহ একাধিক থানার পুলিশকর্মীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যেই থানায় জীবাণুনাশের কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে খোদ পুলিশকেই। কারণ একাধিকবার জীবাণুনাশক চেয়ে লালবাজারে আবেদন করেও তা মিলছে না বলেই অভিযোগ। যদিও লালবাজারের দাবি, এই অভিযোগ সঠিক নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.