কতটা সন্ত্রাস হলে একজোট হওয়া যায়! বড়তলা থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্নায় বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম

কতটা পথ পেরলে তবে পথিক হওয়া যায়! কলকাতা পুরভোট দেখে বব ডিলানের এই গানটাকে একটু বদলে নিয়ে বলতে হয়, কতটা সন্ত্রাস হলে একজোট হওয়া যায়!

পুরভোটের শুরু থেকেই অবাধে ভোটলুঠ ও সন্ত্রাসের অভিযোগ। প্রতিবাদে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার সামনে ধর্নায় বসলেন বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম। তৈরি হল বেনজির ফ্রেম। পথচলতি লোকেরা বলছেন, ভেবে দেখুন, কি ধরনের সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল! যে কারণে তিনটে ভিন্ন মতাদর্শের দল এক জায়গায় এসে প্রতিবাদ করছে।

সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি— তিন দলেরই অভিযোগ, সকাল থেকেই এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল। বেলা বাড়তে শুরু হয় দেদার ছাপ্পা ভোট। যেখানে ভোটাররা যাচ্ছেন, তাঁদের দাঁড় করিয়ে বোতাম টিপে দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও তিন দলের কর্মীরাই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশের চোখের সামনে অবাধে লুঠ করছে তৃণমূল। চলছে বোমাবাজিও। যদিও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, পুরভোটের সকালে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বোমাবাজি করা হয় টাকি হাইস্কুলের সামনে। পর পর দু’ টি বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সকাল থেকেই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে এই ওয়ার্ড। সকালেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদের পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। বেলা বাড়তেই সেই উত্তেজনা পৌঁছল বোমাবাজির পর্যায়ে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ডিসিইএসডি প্রিয়ব্রত রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। এই বোমাবাজির ঘটনায় একজন আহত হন। রক্তাক্ত হন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.