হরিদ্বারে তিন দিন ধরে চলা ধর্ম সংসদ ঘিরে দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ভাইরাল হয়েছে সেই বৈঠকের ভিডিও। অভিযোগ, সেই সভা থেকে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা উগরে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল।
ঠিক কি হয়েছে? ওই সভায় বক্তাদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘দেশে মুসলিম জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে ২০২৯-এ দেশে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হওয়া অসম্ভব নয়। আর সেই কারণেই এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে’। হিন্দুদের উদ্দেশ্যে সাধুদের আহ্বান, ‘মোবাইল কেনার আগে আগ্নেয়াস্ত্র কিনুন’।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূলের নেতা সাকেত গোখলে টুইট করে জানিয়েছেন যে, তিনি জোয়ালাপুর থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। টুইটে লিখেছেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আয়োজক আর বক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের না হলে, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মামলা দায়ের করা হবে’। এই নিয়ে উত্তরাখণ্ডের পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ম বিশেষের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার জেরে ওয়াসিম রিজভি (জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী) এবং অন্যদের বিরুদ্ধে হরিদ্বার কোতওয়ালিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৫৩ এ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানের আয়োজন য়তি নরসিংহানন্দ মহারাজ। অনুষ্ঠানে হিন্দু রক্ষা সেনার সভাপতি স্বামী প্রেমানন্দ গিরি, স্বামী আনন্দস্বরূপ, সাধ্বী অন্নপূর্ণা প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। শেষ দিনে বিজেপির নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও, তিনি এসব থেকে দায় ঝেড়ে বলেছেন যে, ‘আমি ওখানে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ছিলাম, জানিনা ওখানে কী বলা হয়েছে’।