পুলবামা হামলার পর ভারতের বায়ুসেনা পাকিস্থানের আতঙ্কবাদী ক্যাম্পের উপর এয়ার স্ট্রাইক করেছিল। ২৬ শে ফেব্রুয়ারি বায়ুসেনা ভোর ৩.৩০ সময়ে পাকিস্থানের তিনটি আতঙ্কবাদী ক্যাম্পে ১০০০ কেজি বোমা ফেলে স্ট্রাইক করে। এরপর মিডিয়া রিপোর্টে সামনে আসে যে পাকিস্থানের আতঙ্কবাদী ক্যাম্পে ৩০০ জন আতঙ্কবাদী মারা যায়। কিন্তু পাকিস্থানের সরকার দাবি করে যে তাদের আতঙ্কবাদীদের কিছুই হয়নি। ইমরান খানের মন্ত্রীরা দাবি করে যে তাদের পাইন গাছ নষ্ট করেছে ভারত, আর বাকি কিছুই হয়নি। যদিও বালাকোটের স্থানীয়রা দাবি করেছিল যে পাকিস্থানের সেনা বহু লাশ ঘেরা করে রেখেছিল ২৬ শে ফেব্রুয়ারি সকালে। এমনকি যারা সেখানে উপস্থিত ছিল তাদের ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে মত পতক্ষদর্শী পাকিস্থানীদের।
শুধু এই নয়, পাকিস্থানের সরকারের সাথে সুর মিলিয়ে ভারতের কিছু রাজনৈতিক নেতারাও প্রমান চাইতে শুরু করে। দেশের সরকার ও সেনার থেকে এয়ার স্ট্রাইকের প্রমান চাইতে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এখন জইস-ই-মহম্মদের আতঙ্কবাদীরা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে ভারত তাদের উপর স্ট্রাইক করেছে।
জইস-ই-মহম্মদ এর কুখ্যাত আতঙ্কবাদী মৌলানা আম্মার ভারতীয় বায়ুসেনা দ্বারা করা এয়ার স্ট্রাইক এর ঘটনাকে স্বীকার করেছে। মৌলানা আম্মার একটা অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে সেখান সে বলেছে- মোদী আমাদের ট্রেনিং ক্যাম্পে আক্রমন করে সর্বনাশ করে দিয়েছে। পাকিস্থানের সিনিয়র সাংবাদিক তাহা সিদ্দিকি সেই অডিও ক্লিপকে জনগণের সামনে এনেছে।
জানিয়ে দি, মৌলানা আম্মার তার অডিও ক্লিপে মূলত বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকের কথা উল্লেখ করেছে। মৌলানা আম্মার আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে জিহাদি আতঙ্কবাদী গতিবিধি চালনার কাজ করে। মৌলানা আম্মার স্বীকার করেছে যে ভারতের বায়ুসেনা তাদের ক্যাম্পে স্ট্রাইক করেছে। তবে এখন ভারতের রাজনীতিবিদরা ভারতের সেনার থেকে প্রমান চাইবে কিনা সেটাই দেখার।