Hospitalization for Omicron: ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তরা হাসপাতালে কম ভর্তি হচ্ছেন, বলছে পরিসংখ্যান

ওমিক্রন কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে? এই প্রশ্ন এখন সব মহলেই। কিন্তু তার মধ্যেই আশার আলো দেখালো, ইংল্যান্ডের চিকিৎসকদের একটি পরিসংখ্যান। সেখানে দেখা গেল ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপগুলোয় আক্রান্ত হলে যে পরিমাণে রোগীকে হাসপাতাল ভর্তি হতে হচ্ছিল, ওমিক্রনে তার তুলনায় অনেক কম।

ওমিক্রন যে দেশগুলোতে ইতিমধ্যেই মারাত্মক আকার নিয়েছে, তার মধ্যে ইংল্যান্ড একটা। তাই করোনার এই রূপটি নিয়ে সে দেশের চিকিৎসকরা ইতিমধ্যেই রীতিমতো সক্রিয়। হালে তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যের হাল নিয়ে একটি পরিসংখ্যান নিয়েছেন। ৫, ৭৩, ০১২ জন ডেল্টা আক্রান্তের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল প্রথমে। তার পরে ৫, ২৮, ১৭৬ জন ওমিক্রন আক্রান্তের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

দেখা গিয়েছে, ডেল্টা আক্রান্তদের মধ্যে যত জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে সংখ্যাটা প্রায় তার তিন ভাগের এক ভাগ। 

এর কারণ হিসাবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন দ্রুত ছড়ায় ঠিকই, কিন্তু ফুসফুসের ভিতরে এটি তুলনায় অনেক আস্তে বংশবিস্তার করে। ফলে ফুসফুসের হাল ডেল্টা সংক্রমণে যতটা খারাপ হয়, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অতটাও খারাপ হচ্ছে না। যদি একই পরিমাণ ক্ষতি করেও, তাহলেও ক্ষতি হচ্ছে অনেক ধীরে। ফলে ওমিক্রন সংক্রমণে হাসপাতালে কম নিয়ে যেতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে, অেক বিজ্ঞানী এটাও মনে করছেন, করোনাভাইরাস থেকে তৈরি হওয়া অতিমারি এবার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তার প্রমাণ এই ওমিক্রনই। কারণ কোনও ভাইরাসের যখন সংক্রমণের হার বেড়ে যায়, কিন্তু সেটায় আক্রান্ত হলে সমস্যার পরিমাণ কমতে থাকে, তখনই বোঝা যায় ‘এনডেমিক’ পর্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনই বলছেন ইংল্যান্ডের নামজাদা চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান ট্যাং। তাঁর এই দাবি সত্যি কি না, তা বুঝতে ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত কাটতে হবে। তেমনই বলচেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.