ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের জন্য টিম ইন্ডিয়ার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে। ইনজুরির কারণে রোহিত শর্মা বাদ পড়ায় কেএল রাহুলকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এবং অভিজ্ঞ পেসার জসপ্রীত বুমরাহকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে।
এর আগে বিরাট কোহলির জায়গায় রোহিতকে ভারতের নতুন ওডিআই অধিনায়ক মনোনীত করা হয়েছিল। তবে রোহিতের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে তিনি টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়েছিলেন এবং ওয়ানডে-তে সময় মতো ফিট হয়ে উঠতে ব্যর্থ হন। পেসার মহম্মদ শামিকে বিশ্রাম দেওয়া হলেও অক্ষর প্যাটেল এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে ওয়ানডে সিরিজের দলে রাখা হয়নি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
১৯ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচটিও একই ভেন্যুতে ২১ জানুয়ারি, সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি ২৩ জানুয়ারি কেপটাউনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভারতের টিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে।
১) শিখর ধাওয়ানকে ওডিআই সিরিজের দলে না রাখা: দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের সিরিজের জন্য ভারতীয় দলের নির্বাচনের আগেই এমন গুঞ্জন ছিল যে, অভিজ্ঞ ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে দলে রাখা হবে না। সম্প্রতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স অত্যন্ত খারাপ রান ছিল। এই টুর্নামেন্টে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন শিখর। তাঁর সর্বোচ্চ রান ১৮।
ধাওয়ান ইতিমধ্যেই ৩৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাচ্ছে না। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরবর্তী ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে আদৌ তিনি সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তিনি ২০২১ সালে ছ’টি ওয়ানডে খেলেছেন এবং ৫৯.৪০ গড়ে ২৯৭ রান করেন। ধাওয়ান ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ওডিআই খেলেছিলেন। এবং ৫৬.৩৩ গড়ে ১৬৯ রান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কায় সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি। তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে তিনি ৬৪ গড়ে ১২৮ রান করেছিলেন এবং ২০২১ সালে ওডিআই-তে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন শিখর। তাঁকে দলে না রাখায় অনেকেই তাই হতবাক হয়েছিলেন
২) রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সুযোগ পাওয়া: রুতুরাজ গায়কওয়াড়কে দলে রাখা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি ভারতের হয়ে মাত্র দু’টি টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন। ২০২১ আইপিএলে খুব ভালো ফর্মে ছিলেন তিনি। এবং ঘরোয়া চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) চতুর্থ শিরোপা জয়ের পিছনে রুতুরাজের অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল। তিনি ৬৩৫ রান করেছিলেন। সেই সঙ্গে কমলা টুপিও জেতেন রুতুরাজ।
আইপিএলের পর গায়কোয়াড় সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা তিনটি অর্ধশতরান করেছেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে আরও ভালো পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে দু’টি স্কোর ছিল ১৫০-এরও বেশি। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ইনিংস ওপেন করার সুযোগ পেতে পারেন বা তিনি মিডল অর্ডারেও ব্যাট করতে পারেন।
৩) স্কোয়াডে ফিরেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে অক্ষর প্যাটেল এবং রবীন্দ্র জাদেজা উভয়ই না থাকায় ভারতের লেগ-স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দুই ক্রিকেটারের সামনে নিজেদের প্রমাণ করার বড় সুযোগ রয়েছে। চাহালকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও রাখা হয়নি। এ দিকে অশ্বিন প্রায় সাড়ে চার বছর পর ওডিআই টিমে ফিরলেন।